পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে ইরি-বোরো ধান ক্ষেতআসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :: কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু অঞ্চলের শত শত বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। পানিতে ডুবে ধান ক্ষেত পচে নষ্ট হয়ে গেলে জেলার হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ব্যহত হতে পারে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বা অনেক স্থানে নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ওই এলাকা গুলোর শত শত বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। ধান ক্ষেত গুলোর পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক দিন ধরে পানিতে ডুবে ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের বড়দল দোলা এলাকার কৃষক ওসমান গনির ১ একর ২০ শতক, আব্দুল হাকিমের ১ একর, হাসিম আলীর ২ একর, খিলজান বেগমের ৯ একর, জালাল উদ্দিনের দেড় একরসহ শত শত কৃষকের ইরি-বোরো ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। পানি বের হয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হওয়ার ফলে ওই সব জমির ফসল পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকলেও কৃষি বিভাগের লোকজনদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলোতে।

হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৪ শত একর জমির ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে রয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ইতো মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলো পরিদর্শন করেছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার েেহাসেন জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে কিছু নিচু জমির ক্ষেত ডুবে গেছে। কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা কৃষকদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় জানান, বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে ইরি বোরো ধান ক্ষেত এমন তথ্য তার কাছে নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here