মহানন্দ অধিকারী মিন্টু; পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :: মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ খুলনার পাইকগাছা থেকে প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার মেঃ টন চিংড়ি, কাঁকড়া ও মাছ। চলতি বছর ৬ হাজার মেঃটন চিংড়ির উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বছর শেষে ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছে।
এদিকে আজ (মঙ্গলবার) থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী।
সূত্র মতে, এক সময়ের কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় ৮০’র দশকে শুরু হয় চিংড়ি চাষ। বর্তমানে উপজেলায় ২ হাজার হেক্টরের ১০টি নদী, ৪৫৯.১৩ হেক্টরের ৪১৮টি বদ্ধ নদী, ২ হাজার ১৪০ হেক্টরের ১৩২টি খাল, ১৭ হাজার ৭৫ হেক্টরের ৩ হাজার ৯৪৯টি চিংড়ি ঘের, ৫৭.২২ হেক্টরের ৬ হাজার ১৮টি পুকুর রয়েছে। এসব উৎস থেকে প্রতি বছর ৫ হাজার ৮৯০ মেঃটন চিংড়ি, ৪ হাজার ৫০ মেঃ টন কাঁকড়া ও ৪ হাজার ৭২২ মেঃ টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। এলাকার চাহিদা পূরণ করে প্রতি বছর প্রায় ২শ মেঃ টন মাছ উদ্বৃত্ত উৎপাদন হয়।
চলতি বছর মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে চিংড়ির উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৬ হাজার মেঃটন, হেক্টর প্রতি ৬শ কেজি এবং আধা নিবিড় পদ্ধতি হেক্টর প্রতি ৪৫০ কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। বছর শেষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ.এম.এম রাসেল জানান।
সরকারের বাস-বমুখী পদক্ষেপ, চাষীদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান। অবকাঠামো খাতে চাষীরা বিনিয়োগ করলে উৎপাদন কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার জানান।
এদিকে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বিভাগ আয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্যোগে র্যালী, আলোচনা সভা, পোনা অবমুক্তকরণ, ভেজাল বিরোধী অভিযান, প্রামাণ্যচিত্র পরিদর্শন, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও পুরস্কার বিতরণীসহ ২৮ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।