bannedইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: গোটা বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ এইসব ভিডিওগুলি। কেউ কোনও দিন দেখতে পাবে না এইসব ভিডিও। জেনে নিন কেন নিষিদ্ধ এইসব ভিডিও

১. আর্টমিন মিউইজ টেপ– বিবৃত মানসিকতার আর্টমিন ছিল জার্মানির নাসিন্দা। মানুষকে মেরে নরমাংস খাওয়া ছিল তার শখ। কম্পিউটার হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার আর্টমিন ভিডিও টেপে বন্দি করে রাখতেন তার মানুষ মারা ও তারপর তাদের যৌনাঙ্গ ভক্ষণ করার ঘটনা। এইসব টেপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

২. টিমোঠি ট্রেডওয়েল মৃত্যু ভিডিও- মার্কিন এই পরিবেশবিদকে দুনিয়া চিনত ভালুকপ্রেমী হিসেবে। গোটা দুনিয়া সে ঘুরে বেড়াত ভালুকদের খোঁজে। কিন্তু সেই ভালুকই তাঁর জীবনে করুণ পরিণতি ডেকে আনল। ট্রেডিওয়াল তাঁর বান্ধবী অ্যামি হউগার্নাডকে নিয়ে ভালুকদের সঙ্গে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন অ্যালাস্কায়। কিন্তু সেখানে ২০০৩ সালে ২৮ বছরের এই বাদামী ভালুকের হাতে ট্রেডওয়েলও তার বান্ধবীর মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যু সবটাই টেপ হয়। অনেকদিন পরে ট্রেডওয়েলের দেহাবশেষ জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়। সেই ভিডিও টেপটি নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

৩. কার্লা হোমোলকা টেপ- কার্লা লিয়েনি হোমোলকা, কানাডার কুখ্যাত সিরিয়ল কিলার। যে মহিলা তার স্বামীকে অন্তত তিন মহিলার ধর্ষণ ও তারপর খুনে সাহায্য করেছিলেন। ১৯৯১-৯২ সালে কার্লা দুই নাবালিকা বোনকে ধর্ষণ ও খুন করার পর সেই ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। যে ক জন সেই ভিডিও দেখেছিলেন, নৃশংস সেই ভিডিও দেখে তাদের মানসিক বিকার দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিডিও টেপটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

৪. স্টিভ আরউইনের মৃত্যুর ভিডিও- কুমির প্রেমী আরউইন গোটা বিশ্বে ছিল জনপ্রিয়তম নামের তালিকায় উপরের দিকে। সেই আরউন দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। ২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সমুদ্রের গভীরে ‘ওশানস ডেডলিয়েস্ট’ নামে একটি তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ের সময় স্টিং রে মাছের লেজের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন আরউইন। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে কুইন্সল্যান্ডের পোর্ট ডগলাসে গ্রেট ব্যারিয়ার পর্বত শ্রেণীতে তথ্যচিত্রটির শূটিং হচ্ছিল। বিষাক্ত কোন সাপের ছোবল বা বিষেও নয়- মারা গেলেন শান্ত প্রাণী স্টিং রে মাছের আঘাতে। আরউইনের মৃত্যুর ভিডিও প্রকাশ করেনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনওভাবে সেই ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। পরে এই ভিডিও মানবিকতার খাতিরে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়।

৫. ক্রিস্টিন চুববাকস আত্মহত্যা টেপ- মার্কিন সাংবাদিক ক্রিস্টিন চুববাকস কাজ করতেন ফ্লোরিডার এক জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে। লাইভ রিপোর্টে চ্যাট দেওয়ার সময় নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন ক্রিস্টিন। তাঁর আত্মহত্যার সবটাই রেকর্ড হয় ক্যামেরায়। সহকর্মীরা জানান, ক দিন ধরে বেশ অবসাদে ভুগছিলেন ক্রিস্টিন। মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগে ক্রিস্টিন আত্মহত্যার উপর একটি তথ্যচিত্রও করেন। সেই তথ্যচিত্রের একেবারে শেষে ক্রিস্টিন বলেছিলেন, লাইভ টেলিভিশনে আত্মহত্যা করাটা বেশ অভিনব হবে। ক্রিস্টিনের আত্মহত্যার টেপ দেখার জন্য গোটা আমেরিকা জুড়ে হাহাকার পড়ে যায়। মার্কিন সরকার এই টেপকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে। লাইভ ক্যামেরায় ধরা পড়া আত্মহত্যার এই টেপ নষ্ট করে দেয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here