ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় বৈষম্যের শিকার হয়ে পড়েছেন নারী দিন মজুররা মজুরী । শ্রমের মূল্য নির্ধারণ আজ অধরায়, শ্রমিকের অধিকার সে তো স্বপ্ন যাদের কাছে তারা আজও অবহেলিত, দলিত।

জানা গেছে, চলতি বোরো চাষাবাদের মৌসুমে বেড়ে উঠতে শুরু হওয়া চারা ধান গাছ গুলোর পরিচর্যা অপরিহার্য হয়ে পড়লেও মজুর সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুরুষ দিন মজুররা বেশি পারিশ্রমিকের আশায় অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় গৃহস্থদের একমাত্র ভরসা এখন হাতেগণা কিছু নারী দিন মজুরের উপর।

অস্বচ্ছল পরিবার, স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা কিংবা অভাব-অনটনের মধ্যে থাকা এ সকল নারী দিন মজুরা শ্রম বিক্রি করতে গেলে এ সুযোগ নিয়ে গৃহস্থরা তাদেরকে সঠিক মজুরী না দিয়ে স্বল্প মজুরিতে চুক্তি বদ্ধ করে কাজ করে নিচ্ছেন।

এদিকে পুরুষ মজুরেরা প্রতিদিন ২শ ৫০ টাকা থেকে ৩শ টাকা হারে মজুরি বিক্রি করছেন। নারী মজুরীরা একই শ্রম দিয়ে দিন মজুরি ১’শ ৩০ টাকা থেকে ১শ ৫০ টাকা পাচ্ছেন। এতে করে পুরুষ দিন মজুরের চেয়ে নারী দিন মজুরের চাহিদা দিন-দিন বেড়ে গেলেও শ্রম মূল্য বাড়ছে না।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নারী দিন মজুর হোসনে আরা, খালেদা, ইসমোতারা, জরিনা, আকলিমাসহ অনেকে জানান, তারা ক্ষেত খামারে যেভাবে হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিচ্ছে সে তুলনায় শ্রম মূল্য পাচ্ছেন না। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গৃহস্থদের নিকট শ্রম মূল্য বেশি চাইলে কাজে আর ডাক পড়ে না। ফলে কাজ অভাবে অভাব-অনটনের সংসার চালাতে গিয়ে হিমশীম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় উপোস থাকতে হয়। তাই গৃহস্থরা শ্রম মূল্য যাই দিচ্ছেন তা নিয়েই সন্তোষ্ট থাকতে বাধ্য হতে হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here