নড়িয়ায় মেয়র প্রাথীদের গনসংযোগ: মাঠে নেই জাতীয় পাটি ও বিএনপিসৈকত দত্ত, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পৌর নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীরা ৯টি ওয়ার্ডের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। এদিকে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তফসীল ঘোষনার আগেই প্রচারনা শুরু করলেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কাউকে এখনও মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যানার, ফেসটুন ও পোস্টার লাগিয়ে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পোষ্ঠার লিপলেট আলোচনায় ও বেনারে এগিয়ে আছেন নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি মো: সিরাজুল ইসলাম চুন্নু ও ৮নং ওয়র্ডের বর্তমান কমিশনার মো: শহিদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ী। অন্যরা প্রচারনা চালাছেন চুপেচাপে। দলীয় সমার্থন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন সবাই। সব প্রার্থী নিজেকে নিজে যোগ্য মনে করে।

মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, বতর্মান মেয়র উপজেলা আ.লীগের সদস্য মো: হায়দার আলী, উপজেলা আ.লীগের উপদেষ্টা এ্যাভোকেট আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হাজী হাচান আলী রাড়ী, বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌর আ.লীগের সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি মো: সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক হাজী মোহাম্মদ আলী বেপারী। এছাড়াও অর্ধ শতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে।

সাধারণ ভোটারদের অনেকেই জানান, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ দুইটি ভাগে বিভক্ত হওয়ায় তারা একধরনের দ্বিধা দ্বন্ধের মধ্যে আছেন। দলের মধ্যে দল থাকায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত ভোটাররা প্রকাশ্যে প্রার্থীদের সর্মথনে এখনও মাঠে নামেনি কেউ। গত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে।

স্থানীয় সাংসদ কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলীর সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের পরাজয়ের পরে সাংসদ শওকত আলী সমর্থিতদের নড়িয়া উপজেলায় রাজনৈতিক কোন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরা পৌর এলাকার রাস্তা-ঘাট, স্কুল কলেজে, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের সংযোগ এবং জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ এবং মাদক মুক্ত পৌরসভা গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।

ভোটারা জানায় বিগত দিনে নড়িয়া পৌরসভায় উন্নয়ন মুলক তেমন কোন কাজ হয় নাই। ভোটাররা বলেন, আমরা মুখ রসক কথায় না ভুলে সত্য-যোগ্য, শিক্ষিত, ন্যায়-পরায়ন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here