আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এই পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করবে। তবে মাওবাদীদের একটি অংশসহ বেশ কয়েকটি দল ভোট বর্জন করায় নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগের দিন সোমবার নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান খিলরাজ রেগমি  নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে  নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় তিনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে সংগঠিত সহিংস ঘটনার নিন্দা জানান।নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে ইতিমধ্যে ৫০ হাজার সেনাসদস্য ও এক লাখ ৪০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের নেপালের মাওবাদী পার্টি নির্বাচনে জয়ী হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের কারণে তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খসড়া সংবিধান প্রণয়ণে ব্যর্থ হয়।
মাওবাদী গোষ্ঠির একাংশ নির্বাচন বর্জন করে মঙ্গলবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তারা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত নতুন সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছিল।
এবারের নির্বাচনে বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। নেপালের ৬০১আসনের কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বা সাংবিধানিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য  শতাধিক দলের ১৬ হাজার প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। এদের মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ৬ হাজার। শত শত বিদেশি পর্যবেক্ষক এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here