রবীন্দ্র নাথ পাল, ময়মনসিংহ থেকে :: কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে নেত্রকোনায় টানা তিন দিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
নেত্রকোনা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে পুরাতন কমিটি ও নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দর দ্বন্দ্ব দেখা দেয়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেত্রকোনায় গত শুক্রবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এর পর থেকেই নেত্রকোনার সাথে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চলাচলকারী দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
রবিবার সকালে আঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূর দূরান- এলাকা থেকে বাস টার্মিনালে আসা যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অনেকে ট্রাক, পিক-আপ ভ্যান, সিএনজির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে চরম ভূগান্তি নিয়েই নিজ নিজ গন্তব্য পথে রওনা হয়েছেন।
অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে ট্রেনে বাদুর ঝোলা হয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় শত শত পরিবহন শ্রমিককে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। কমিটি নিয়ে দু পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসনে স’ানীয় প্রশাসন ও মালিক পক্ষের কোন উদ্যোগেই তেমন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বাস ধর্মঘটের অবসান কবে হবে তাও সঠিক করে কেউ বলতে পারছে না।
স্থানীয় বাস মালিকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। নবগঠিত কমিটির আহবায়ক ওবায়দুল হক রতনের জানান, ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট পুরাতন কমিটির ৩৪ জনই নেত্রকোনা জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন।
আমরা ইতিমধ্যেই রেজুলেশন করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে কপি পাঠিয়েছি। আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।তারা কমিটির অধিকাংশ সদস্যের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে রেজুলেশন করেছে।
জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার জানান, বিষয়টি সুরাহা করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধোন হবে।