যুবলীগ নেতা শাহীন (৩২) হত্যার দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে শাহীনকে হত্যার পর দায়ের করা মামলায় বিএনপির সাবেক হুইপ আবদুল করিম আব্বাছীর পরিবারকে জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্বাছী পরিবার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর সদর উপজেলার নৌয়াবন্দ গ্রামের মেয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল মিয়ার মোটরসাইকেলের নীচে পড়ে গাভাউতা গ্রামের এক শিশু আহত হয়। এ নিয়ে আব্বাছনগর বাজারে দরবার-সালিশী হলে নয়াপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হেকিমের ছেলে শাহীনও অংশ নেন। এর জের ধরেই শাহীনের সঙ্গে বাবুল মিয়া ও তার ভাইদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ১০ নভেম্বর ওই ব্যাপারে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবুল ও তার লোকজন প্রকাশ্যে পিটিয়ে শাহীনকে হত্যা ও তার ছোট ভাই তুহিনকে আহত করে।
এদিকে হত্যাকান্ডের তিন দিন পর ১৩ নভেম্বর তুহিন মিয়া বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে বাবুল ও তার ভাই লিটন, শহীদসহ তাদের পক্ষের ১২ জন(প্রত্যেকের বাড়ি নৌয়াবন্দ গ্রামে) ছাড়াও বিএনপির সাবেক হুইপ আবদুল করিম আব্বাছীর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে (১৩-১৭ নং) আসামী করা হয়। তারা হচ্ছেন- আবদুল করিম আব্বাছীর ছোট ভাই বাকলজোড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার আব্বাছী (৬২), তার ছেলে কলেজ শিক্ষক ইলিয়াস আব্বাছী, আনিস আব্বাছী, ভগ্নিপতি জালাল উদ্দিন ও ভাতিজা হাবিজুলস্নাহ। অভিযুক্ত আসামীদের প্রত্যেকেই পলাতক।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি আবদুল করিম আব্বাছী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে তাদের পরিবারের কারও সম্পৃক্ততা নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রভাবশালীদের ইঙ্গিতে তার পরিবারের সদস্যদের আসামী করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার সকল আসামী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাবে কেবল তাদের বিরুদ্ধেই চাজশীট দেয়া হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/বিজয় দাস/নেত্রকোনা