প্রথম থেকে পেরু যে খারাপ খেলছিল, বলা যাবে না। কিন্তু নেইমার ছিলেন নেইমারের মতোই। ২৩ মিনিটে নেইমারকে আটকাতে গিয়ে উলটো ফাউল করে বসেন ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রামোস। ফলাফল? হলুদ কার্ড। প্রথমার্ধে এমন বেশ কয়েকবার অন্যায়ভাবে ফেলে দেওয়া হয় নেইমার-জেসুসদের। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হলুদ কার্ড দেখেন পেরুর আরেক ডিফেন্ডার ইয়োশিমার ইয়োতুন।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ছন্দ যেন আরও ভালোভাবে ফিরে পায় ব্রাজিল। মাঠে নামানো হয় এভারতন সান্তোস, এভারতন রিবেইরোকে। ৬২ মিনিটে নেইমারকে বক্সে ফেলে দেওয়া হলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। কিন্তু ভিএআরের কল্যাণে বেঁচে যায় পেরু। পেনাল্টি না পেয়েই কি না, আরও বেশি তেতে যান নেইমার। ৬৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন নেইমার। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর গোল হয়ে গেল ৬৮টি। ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে আর মাত্র ১০টা গোল দরকার নেইমারের।
দুই গোল খেয়ে পেরুর আত্মবিশ্বাসে বেশ ভালোই ধাক্কা লাগে। যার ফলাফল, ম্যাচের শেষ কয় মিনিটে আরও দুটি গোল খেয়ে বসে দলটা। নেইমারের শুরু করা দুর্দান্ত এক মুভে রিচার্লিসনের পাস ধরে ৮৯ মিনিটে গোল করে বসেন এভারতন রিবেইরো। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আবারও সরাসরি সহায়তাকারীর ভূমিকায় নেইমার। এবার গোল করান রিচার্লিসনকে দিয়ে। শেষ দিকে রবার্তো ফিরমিনো মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
শেষমেশ নেইমারের জাদুর আরেকটা প্রদর্শনী দেখল কোপা আমেরিকা। ব্রাজিলের গত কোপাজয়ী দলটায় নেইমার ছিলেন না। সে কারণেই কিনা এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা। এবার নিজে উপস্থিত থেকেই যেন দলকে জেতাতে চান আরেকটি কোপা। আজকের ৪-০ গোলে জয়টাই যেন সে ইচ্ছার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন!