লেখক একজন ফ্রিলেন্স সাংবাদিক

Soyeb4@gmail.com

 

সামপ্রতিক সময়ে একটি আলোচিত বিষয় হচ্ছে সাংবাদিক হত্যা ও সাংবাদিক নির্যাতন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনারা যখন সাংবাদিক নির্যাতন শুরু করে তখনই দেশবাসী বুঝতে পেরেছে দেশ ভয়াবহ পরিনতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি সড়ক দূর্ঘটনায় সাংবাদিক মিশুক মনির নিহত হওয়া, প্রেসক্লাবের সামনে এক সিনিয়র সাংবাদিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত এবং আহত হওয়া, ভোলার লালমোহনে সাংবাদিক নির্যাতন এবং গত ১১ ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবসে নিজ বাসায় সাংবাদিক সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনি খুন হওয়া আমাদের সাংবাদিক সমাজকে আতংকিত  করে তুলেছে।

বাবার কাঁদে সন্তানের লাশ বহন করা যেমন পৃথিবীর সবচেয়ে ভারি বস’ু ঠিক তেমনি যারা দেশের মানুষের উপকারের জন্য সংবাদ খুঁজে বেড়ান তারা যখন সংবাদ এর শিরোনাম হয়ে উঠেন সেটা হলো আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকর বিষয়, সাংবাদিকদের জন্য কষ্টের বিষয়।  প্রতিটি দেশের সাংবাদিক হচ্ছে প্রতিটি দেশের দর্পন স্বরূপ, তারা দেশের ভালো মন্দ খবর, দেশের মানুষের সুখ দু:খের খবর, মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেন। আর এই কারনে সাংবাদিকেরা অপরাধীদের শত্রু হয়ে উঠেন। তার পরেও সাংবাদিকেরা হাল ছাড়েন না। তাই প্রতিনিয়ত সৎ নিষ্ঠাবান সাংবাদিকেরা দেশকে অপরাধমুক্ত করার জন্য নির্ভয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে তাদের লেখা চালিয়ে যান। ফলে নির্যাতন এবং হত্যার স্বীকার হন।

আমাদের দেশের নেতারা তাদের নিরাপত্তার জন্য বডিগার্ড রাখেন এবং অস্ত্রের লাইসেন্স নেন। কিন’ সাংবাকিদের কোন অস্ত্র নেই অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়ার প্রয়োজন হয়না। কলমেই তাদের প্রথান অস্ত্র । এই পেশায় আসার সময় তারা যানে সৎ পথে সাংবাদিকতা করতে গেলে বিপদ আসবেই । মৃত্যূকে ভয় পেলে সাংবাদিকতা করা যাবে না। আর যারা সাংবাদিকদের হত্যা করে, সাংবাদিক নির্যাতন করে, তারা মানুষ রুপি পশু। তারা সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি, নদৃমার কিট। কারন জীবন বাঁজি রেখে দেশের জন্য, দেশের সাধারন মানুষের জন্য কাজ করে সেই নিরস্ত্র সাংবাদিক, তাদের যারা হত্যা করে বা নির্যাতন করে  তারা কি কোন মানুষের মধ্যে পরে ? কিন’ দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদরে দেশে সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের কোন সুষ্টু বিচার হয়না, কারন সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের সাথে জড়িত থাকে সমাজের উঁচু স্তরের মানুষেরা। সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের পর কিছুদিন সরকারের মন্ত্রীদের তোড়জোর থাকে, আসামী গ্রেফতার হয়, তার কিছুদিন পর আর কোন খবর থাকে না। কতিপয় এডভোকেটদের কারনে আইনের ফাঁকদিয়ে আসামীরা বের হয়ে যায়। আমরা চাই সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের এমন শাস্তি হওয়া উচিত যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এবং এডভোকেটদের কাছে অনুরোধ সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনকারীর পক্ষ না নেয়ায়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here