বাগেরহাট

মো. শহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের রামপালে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া তিন বছরের শিশু হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে দাউদখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় স্বজনরা হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

রোববার দুপুরে নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে উপজেলার দাউদখালী নদীতে পড়ে শিশু হৃদয় নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর শিশু হৃদয়কে উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট অংশ নেয়। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ বন্ধ ঘোষণা করে।

হৃদয় রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের দিনমজুর জাকির হোসেনের ছেলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বাগেরহাট কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক সরদার মো. মাসুদ সকালে বলেন, নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু হৃদয়ের মরদেহ সোমবার সকালে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে তার স্বজনরা।

রোববার হৃদয় নামে একটি শিশু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে দাউদখালী নদীতে পৌছে বাগেরহাট, খুলনা ও মোংলা ইপিজেড ইউনিটের তিনটি ডুবুরী দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। দাউদখালী নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকায় আমাদের ডুবুরি দল তল্লাসি চালায়।

কিন্তু রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু হৃদয়ের সন্ধান না পেয়ে আমরা উদ্ধার কাজ বন্ধ ঘোষণা করি। শিশু হৃদয়ের মা রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, দাউদখালী নদীর তীরে আমাদের বসবাস।

রোববার প্রতিদিনের মত আমার ছেলেসহ প্রতিবেশির আরও দুটি ছেলে মিলে নদীর পাড়ে খেলতে যায়। হঠাৎ করে আমার ছেলে হৃদয় নদীতে পড়ে গেলে ওর সাথে থাকা অন্য দুই শিশু তাদের বাড়িতে ফিরে আসে। আমি তাদের কাছে আমার ছেলের কথা জানতে চাইলে তারা বলে হৃদয় নদীতে পড়ে গেছে।

তখন আমি স্থানীয় লোকজন নিয়ে সেখানে আমার ছেলেকে খুঁজতে যাই। নদীতে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হৃদয়কে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাইনি। সোমবার সকালে আমার ছেলের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে তা উদ্ধার করেছি।

 

যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে চালক নিহত, আহত – ২০
বাগেরহাটের ফকিরহাটে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বাসটির চালক রইস মোল্লা (৩৮) নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী।

সোমবার ভোরে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রইস মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বয়রা গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে।

বাগেরহাট মহাসড়কের কাটাখালী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল শেখ জানান, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নামের একটি পরিবহণ ঢাকা থেকে ৪১ জন যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা নামক স্থানে পৌছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

এতে ওই পরিবহণের চালক রইস মোল্লা ঘটনাস’লেই মারা যান এবং পরিবহণে থাকা অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here