নোমান ইবনে সাবিত/বিপি, নিউ ইয়র্ক থেকে ::
‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ বা শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যকে বিষবাষ্প বলে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১৪ মে নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন নিহতের ঘটনায় বাইডেন এই দায় আরোপ করেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
বাইডেন বলেছেন, ‘যারা আমেরিকাকে বোঝে না অথচ ভালোবাসার ভান করে তারাই ঘৃণা এবং ভীতি ছড়ায়। বিশ্বের ইতিহাসে আমরাই সবচেয়ে বেশি বর্ণের মানুষ নিয়ে গঠিত সবচেয়ে গতিশীল জাতি। এখন সময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমেরিকান হিসেবে কথা বলার এবং হোয়াইট সুপ্রিমেসিকে প্রত্যাখ্যান করার।’
বাইডেনের এই মন্তব্য ১৮ বছর বয়সী সাদা চামড়ার এক তরুণ কর্তৃক গুলি করে ১০ জন কালো গাত্রবর্ণের মানুষকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে এল। পেটন গেন্ডরন নামে ওই তরুণ তাঁর নিজ শহর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরের নিউইয়র্ক শহরে এসেছিলেন স্রেফ কাল গাত্রবর্ণের লোকদের হত্যা করতে।
এর আগে, গত ১০ মে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের একটি সুপার মার্কেটে পেটন গেন্ডরন নামের এক তরুণের গুলিতে ১০ জন নিহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ১৮ বছরের ওই তরুণকে আটক করে নিউইয়র্ক পুলিশ। শনিবার বিকেলের দিকে ওই তরুণ একটি ব্যস্ত সুপার মার্কেটে প্রবেশ করে অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই তরুণ হামলার দৃশ্য লাইভ সম্প্রচার করার জন্য একটি ক্যামেরাও ব্যবহার করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বলেছে, তারা এ ঘটনাকে ‘জাতিগত বিদ্বেষ থেকে উদ্বুদ্ধ অপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে ওই তরুণের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এফবিআইয়ের বাফেলো অফিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা স্টিফেন বেলঙ্গিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনাকে ঘৃণামূলক অপরাধ এবং জাতিগত বিদ্বেষ থেকে অনুপ্রাণিত সহিংস চরমপন্থার মামলা হিসেবে তদন্ত করছি।’
এদিকে, বাফেলোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই তরুণকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তার অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা বেশির ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা ওই সুপারমার্কেটে কাজ করতেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here