এ-এইচ ১৬ ড্রীম ফাউন্ডেশন ইনক’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট আলী হোসেনের শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। কেরানীগঞ্জ ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা হাজী মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আলী হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আজহারুল হক মিলন, সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াসী চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জোয়াদ হাবীব, স্বপন বসু, ফজলুল হক দেওয়ান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট খান শওকত ও এবাদুর রহমান খালেদ।
সভায় বক্তারা ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীরোত্তম), মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী সহ জাতীয় নেতাদের দলমতের উর্ধ্বে রাখার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা নিয়ে আজ দেশে রাজনীতি হচ্ছে, বাণিজ্য করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস রচনা জরুরী। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি তাঁদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন আমাদের জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষ শক্তি বলে জাতিকে বিভক্ত করা হচ্ছে। ৭১ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পক্ষ-বিপক্ষ বলতে কিছু নেই। দেশে সবাই বাঙালী-বাংলাদেশী।
বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বড় সমস্যা হচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এই বিপর্যয় মোকাবেলা করতে না পারলে পারলেন দেশ থাকবে না, দেশের মানুষও থাকবে না। বক্তারা দেশে প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান এবং ড্রীম ফাউন্ডেশনের আয়োজনের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস স্মরণে সাংবাদিকতা, সমাজকর্ম ও সঙ্গীতে বিশেষ অবদান রাখার তিনজনকে প্ল্যাক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। এরা হলেন নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ওয়েব পোর্টাল ‘হককথা’ ও বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ) এর সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, সমাজকর্মী ও যাদুশিল্পী খান শওকত এবং লোক সঙ্গীতশিল্পী কৌশলী ইমা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে উপলক্ষ্য করে ঢাকার কেরানীগঞ্জের সন্তান নিউইয়র্ক প্রবাসী আলী হোসেন তার পিতা আহাম্মদ হোসেনের নামে চলতি বছর ‘এ-এইচ ১৬ ড্রীম ফাউন্ডেশন ইনক’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রবাসী ও দেশে নিজ এলাকাবাসীদের কল্যাণই এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই ফাউন্ডেশর উদ্যোগে আমেরিকান-বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল সাপ্লাই বিতরণ করে কমিউনিটির প্রশংসা অর্জন করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জোওয়াদ হাবীব। পরে বাংলাদেশের সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বিজয় দিসের আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ভারতীয়-আমেরিকান বাঙালী স্বপন বসু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন স্বপন বসু, খান শওকত, আফরোজা মিলি ও পারভীন বানু।
শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কৌশলী ইমা, হাফিজুর রহমান, পারভীন বানু ও ফরহাদ জামান। শিল্পীদের তবলায় সঙ্গত করেন চন্দন ব্যানার্জি। বাঁশি ছিলেন হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন রোকসানা বেগম। শব্দ যন্ত্র পরিচালনা করেন নিয়ামুল করীম।