বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে ::jamica incident 2 নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকায় ডাকাতদলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আইএসের কোন সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমের এমন সংবাদ প্রচারে আতংকিত হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। তবে বাংলাদেশি পরিবারগুলো নিরাপদে রয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস। ফাতেমা জিন্নাত নামের এক বাংলাদেশী নারীকে সামান্য আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সেই জিম্মিকারীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম আক্রমন করা হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উল্টোদিকে হিলসাইড এভিনিউয়ে ১৭৯-৪৬ স্ট্রিটের একটি বাড়িতে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঢুকে পড়ে। এ ঘটনার ১০ মিনিট পর ১০৭ ষ্ট্রিটের ৮৮-২০ নম্বর বাড়ির সামনে ফায়ার বোমা ছুঁড়ে তা বিস্ফোরন ঘটালে সেই বাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আধা ঘন্টা পর ৮৯-৮৯ ভ্যানউইক এক্সপ্রেসওয়ের ইসলামিক সেন্টারের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু শেষে আক্রমন করেন ১৭০ ষ্ট্রিটের সেই বাড়িতে। জানা গেছে, জ্যামাইকার ‘এমাজন ক্লাবের’ মালিক গাইয়ানিস পরিবারে ডাকাতির উদ্দেশ ছিল তাদের। তবে ওই বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে দুজন পালিয়ে যায়। অপরজন পাশের একটি বাড়ির দরজা ভেঙে তাদের জিম্মি করে আশ্রয় চান। ওই বাড়িতে এক বাংলাদেশী পরিবার থাকতেন। দরজা ভাঙার সময় এক বাংলাদেশী নারী আহত হন বলে ওই নারীর ছেলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। পুলিশ ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির ওপরে পুলিশের হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা যায়। পরে পুলিশ জিম্মিকারীকে ধরতে সক্ষম হয়। জিম্মিকারীর নাম না জানালেও তিনি কৃষ্ণাঙ্গ বলে জানা গেছে। এদিকে, এ ঘটনাকে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যম আইএসের হামলা হিসেবে সংবাদ প্রচার করায় সেখানকার বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে আরও সচেতন হতে হবে। তবে আমাদের দেশের কিছু গণমাধ্যম না জেনে বাংলাদেশী এলাকায় আইএসের সন্ত্রাসী হামলা বলে সংবাদ প্রচার করায় আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’ অন্যদিকে, পালিয়ে যাওয়া অন্য দুজনের খোঁজে পুলিশের অভিযান চলছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এম শামীম আহসান গতকাল মঙ্গলবার দেশের একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘তিনি টেলিফোনে নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তেদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান। কারণ সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here