নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুলস্না চাঁদমারী এলাকায় রোববার রাতে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে জনতার সংর্ঘষের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনসহ ৩৭ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। অপর মামলাটি করেছেন ট্রাকের চাপায় নিহত সাবিনা বেগমের স্বামী ইয়াসিন মিয়া।
রোববার রাতে ও সোমবার সকালে এ দুটি মামলা দায়ের হয়। তবে সোমবার বিকেল পৌনে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যনন্ত পুলিশ নতুন করে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, রোববার রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে চাঁদমারী এলাকা থেকে রিকশায় করে শিবু মার্কেট এলাকার দিকে যাওয়ার সময় পেছনে মালভর্তি একটি ট্রাক (খুলনা মেট্রো ট-১১-০৫৫৯) ওই রিকশাকে চাপা দেয়। এতে রিকশার আরোহী সাবিনা বেগম (২৮) মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে জনতা হামলা চালায়। এতে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন আহত হন।
সরকারি কাজে বাধা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, ট্রাকে আগুন ও ভাংচুরের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন কৃষ্ণ মিত্র বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত লোকমান, সাহেব আলী ও শাকিলসহ ৩৭ জনের নাম উলেস্নখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এছাড়া ট্রাকচাপায় নিহত সাবিনা বেগমের স্বামী ইয়াসিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ট্রাক চালকের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার সড়ক দুর্ঘটনায় সাবিনা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় রাত ৯টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে পুলিশের এক কনস্টেবলসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা ৮-৯টি গাড়ি ভাংচুর ও একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংর্ঘষের ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাকসুদুর রহমান কামাল/নারায়ণগঞ্জ