ডেস্ক রিপোর্ট:: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কারারুদ্ধ অ্যালেক্সি নাভালনির প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। নাভালনির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শনিবার বাইডেন বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অন্যায়, অন্যায্য।’

পুতিন সমালোচক নাভালনি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কারাগারে মারা যেতে পারেন চিকিৎসকদের এমন সতর্কতার পর এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন এমন মন্তব্য করেন। বাইডেন বলেন, রুশ সরকার একবারে অনুচিত কাজ করেছে।

রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন, কারাগারে বন্দি পুতিনবিরোধী এ নেতা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যেতে পারেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে এখনই গুরুত্ব দেওয়া না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না|

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নাভালনি রাশিয়ায় কারাগারে গত ৩১ মার্চ থেকে অনশন করছেন তিনি। পিঠ ব্যথা ও পায়ে পায়ের অসাড়তায় সঠিক চিকিৎসার দাবিতে তিনি অনশন করছেন।

নাভালনির চিকিৎসকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক তার রক্ত পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যেকোনো সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন তিনি। কিংবা তার কিডনি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। এতে করে তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে এবং তার মৃত্যুও হতে পারে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত নাভালনি। অর্থ আত্মসাতের পুরোনো মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে নাভালনিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছর সাইবেরিয়া থেকে মস্কোয় ফেরার পথে নাভালনিকে সোভিয়েত আমলের নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষপ্রয়োগে অসুস্থ নাভালনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরে জার্মানিতে দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।

জার্মানি থেকে গত ১৭ জানুয়ারি মস্কো ফেরার পর বিমানবন্দরেই আটক হন নাভালনি। পরে ‍সাজা স্থগিতের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য মস্কোর একটি আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অ্যালেক্সি নাভালনিকে ক্রেমলিন ধীরে ধীরে হত্যা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, পুতিন বিরোধী নাভালনিকে এমন এক শারীরিক অবস্থায় কারাগারে রাখা হয়েছে যেটা মূলত নির্যাতন। তাকে ধীরে ধীরে হত্যা করা হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করে লন্ডনভিত্তিক এই সংগঠন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here