খাদিজা ইসলাম :: আন্তর্জাতিক নারী দিবসেকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কাঠমারচর গ্রামে সমাবেশের আয়োজন করা হয় ভাগ্যবঞ্চিত নারীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হলেও যোগ দেন আবাল বৃদ্ধ বনিতা। কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এর সার্বিক সহায়তায় উপকূলের নারীদের সামাজিক অবস্থান চিহ্নিত করাএবং বাস্তবায়ন করাই সমাবেশের মূল লক্ষ্য। ব্যানারে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান এবং প্রতিপাদ্য লেখা ছিল। স্লোগানের মধ্যে ছিল “প্রজন্ম হোক সমতার- সকল নারীর অধিকার,”বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা- নারী নির্যাতন রুখবো আমরা”
দুর্যোগে এবং সংকটে নারী নির্যাতন বন্ধ হোক।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, উপকূল অঞ্চলে যৌতুক, বাল্যবিবাহ ছাড়াও নারীর প্রতি সহিংসতা অনেক বেশি।দুর্যোগকালীন সময়ে এ সকল সহিংসতার মাত্রা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। এখানে নারীরা উচ্চ শিক্ষিত নয়, সচেতন ও নয়।প্রকৃতপক্ষে নারীর শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের এই অধিকার চর্চার জন্য অবস্থান তৈরি হতে পারে।তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিত করন আলাপচারিতা হয় সমাবেশে। তিনি বলেন নারীরা এখন অনেকটাই বুঝতে পেরে গেছে তাদের অবস্থান এবং করণীয়।
উপস্থিত নারীদের মধ্যে জরিনা খাতুন বলেন” শুধু নারীদের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণ নয়, পাশাপাশি পুরুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আন্দোলন পুরুষদের অধিকারের বিপক্ষে নয় বরং নারীদের অধিকারের পক্ষে। নারী আন্দোলন কখনো কারোর অধিকার খর্ব করে না বরং বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সাহায্য করে।
উপকূলের গ্রামীণ নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন ইমরান হোসেন।তিনি আশা করেন করোনা পরবর্তী উপকূলের এসব সুবিধা বঞ্চিত নারীরা উদ্যোক্তা এবং উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার মাধ্যমে সমানতালে এগিয়ে যাবে। সকল প্রকার সামাজিক কুসংস্কার এবং যৌতুক বাল্যবিবাহ এর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন তিনি। সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ।