ডেস্ক রিপোর্ট : : নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি কারাগারে হামলা চালিয়ে প্রায় দুই হাজার কয়েদিকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। নাইজেরিয়ায় অন্যতম বড় জেল-ভাঙার ঘটনা এটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

দেশটির ইমো রাজ্যের ওয়েরি কারাগারের প্রবেশমুখে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলা চালালে কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে পালিয়ে যায় ভেতরে থাকা প্রায় দুই হাজার কয়েদি।

একই সঙ্গে শহরের বেশ কয়েকটি সরকারি দফতরেও হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও এ ঘটনার জন্য দেশটির ইস্টার্ন সিকিউরিটি নেটওয়ার্ককে দায়ী করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।

কারেকশান্স কম্পট্রলার জেনারেল অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমো রাজ্যের ওয়েরি কারাগারের প্রবেশমুখে অজ্ঞাত হামলাকারীরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে। এ সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে হামলাকারীদের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

ঠিক কতজন বন্দি পালিয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা উল্লেখ না করে কারা মুখপাত্র জেমস মাদুগবা বলেন, ওয়েরি কারাগারে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু জেল নয়, শহরের অন্য সরকারি বাড়িতেও একই সঙ্গে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় বেশকিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন সক্রিয় আছে। তবে কোনও গোষ্ঠীই এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি।

নাইজেরিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক এ হামলার জন্য ইস্টার্ন সিকিউরিটি নেটওয়ার্ককে (ইএসএন) এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।

প্রেসিডেন্ট বুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি সন্ত্রাসবাদী কাজ। তিনি পালিয়ে যাওয়া সব বন্দিকে গ্রেফতার করে আবার কারাগারে রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ায় থানা, সেনার চেকপয়েন্ট এবং কারাগারে আক্রমণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। তাতে অন্তত ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here