সোহানুর রহমান :: বরগুনার তালতলীতে শুভসন্ধ্যা সৈকতসংলগ্ন পায়রা নদীর পাড়ে একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো: মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, তালতলীতে নদীর জমি দখল করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন বিষয়ে নদীর এই সমতল ভূমি কেউ কাউকে দিতে পারেনা। এই অংশ কাউকে দিলে ওইখানে আরো ভাঙণ শুরু হয়ে যাবে। চর পড়ে যাবে। স্যান্ডউইচের মত হয়ে যাবে নদীটি। বঙ্গোপসাগার মোহনা পলি পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে এ রকম একটি নদীকে আমরা হারাবো।
তিনি তালতলীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুতকেন্দ্রের স্থান পরিদর্শণ, বরগুণা জেলা নদী রক্ষা কমিটি, পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা শেষে শুক্রবার কুয়াকাটায় আন্তজার্তিক পানি সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, জলবদ্ধতা হবে, লবণাক্ততা বাড়বে। একটা দুর্যেগময় পরিস্থিতির তৈরি হবে। অপর পাড়ে বরগুনা সদরের ভাঙণ কবলিত এলাকার ভাঙণ আরো বেড়ে যাব। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন চলবে, তবে নদীর অস্তিত্বকে বিলীন করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎয়ের আমাদের দরকার আছে। দেশে তেমন বিদ্যুৎ সংকট না থাকলেও কেন এই ভাবে নদীর জমি দখল করে কেন বিদ্যুৎ কেন করা হচ্ছে? কিসের জন্য করছেন?? উন্নয়নের জন্য নদী নালা, খাল-বিল, কৃষি-কৃষক বিরুপ প্রভাব ফেলে কোন প্রকল্প করা যাবেনা। এই প্রকল্প অনুমোদন কিভাবে পাবে? পরিবেশ অধিদপ্তর একটি সম্ভবতা যাচাইয়ের সমীক্ষা করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে এবং অনেক দূর এগিয়েছে। এলাকার কয়েকশ মানুষকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি এই নদীর জমি দখল করে বিদ্যুত প্রকল্প বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে জাতীয় নদী কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে বলেও চেয়ারম্যান ড. মো: মুজিবুর রহমান হাওলাদার উল্লেখ করেন।