সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলা শিশু লামিয়ার (১১) মরদেহ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার আল-আমিন সিকদার। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মোহনায় জেলেরা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। গত ৬ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গাবালীর চরআন্ডা গ্রামে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় শিশু লামিয়াকে। পরে লাশ গুম করতে ফেলা হয় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অটোরিকশা চালাক আল-আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে ধর্ষণ এবং হত্যার দায় স্বীকার করে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আল আমিন।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার   জানান , শিশু লামিয়াকে ধর্ষণ এবং হত্যার পর লাশ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয় আল আমিন। এ ঘটনার আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে। ঘটনার পর থেকে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। সোনার চর এলাকায় ভেসে উঠলে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here