নিউজ ডেস্ক : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসকে স্মরণ করতে রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ ও ছবি-

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার  মিল্টন : শেরপুরে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মানুষের ঢল নামে। সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক, জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা পরিষদ, পৌর মেয়র পুষ্পসত্মবক অর্পন করেন।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী স্মৃতি পরিষদ, উদীচী, মহিলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ র‌্যালি সহকারে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে হাজির হয়ে পূস্পার্ঘ অর্পন করে।

এদিকে, দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে ছাত্র-ছাত্রীদের কুজকাওয়াজ ও শারিরীক কসরত প্রদর্শন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার সম্বর্ধনা, প্রীতি খেলাধুলা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কলারোয়া থেকে কামরুল হাসান: কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪২তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

১৬ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮টায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে নির্মিত ‘স্বাধীনতা স্তম্ভে’ একে একে পুষ্মমাল্য অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ আলী, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস মনোয়ারা ফারুক, ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদার, কলারোয়া থানার পক্ষে ওসি শাহ্‌ দারা খাঁন(পিপিএম), পৌরসভার পক্ষে মেয়র আকতারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মাগফুর রহমান রাজু, মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, কলারোয়া প্রেসক্লাবের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রাশেদুল হাসান কামরুল, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সাংবাদিক দীপক শেঠ, আ’লীগ’র পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, রবিউল আলম মল্লিক রবি, বিএনপি’র পক্ষে বজলুল করিম, রইছ উদ্দীন, আব্দুর রকিব মোল্যা, আলহাজ্ব শেখ তামিম আজাদ মেরিন, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, জাতীয় পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দল ও অংগ সংগঠন, কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন। মাল্যদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আ’লীগ নেতা ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরাফাত হোসেন।

সকাল ৯টার দিকে কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস মনোয়ারা ফারুক, ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদার, ওসি শাহ্‌ দারা খান (পিএিম) ও গোলাম মোস্তফা। এ সময় শান্তির প্রতীক সাদা কবুতর অবমুক্ত করা হয়। পরে সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অন্য সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় আকর্ষনীয় কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। একই মাঠে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ক্রীড়াবিদরা।

সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিএম নজরুল ইসলাম। ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানরা, উপজেলা আ’লীগ’র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধিজন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা।

খাগড়াছড়ি থেকে আল-মামুন: খাগড়াছড়িতে মহান বিজয় দিবসের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য শহীদ অর্পনের পরেই  জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারনা শুরু করেছে। এ সময় তিনি সাধারন মানুষের দোয়া প্রার্থনা করেন। প্রচারনার অংশ হিসেবে তিনি খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে গিয়ে পাহাড়ে শান্তির লক্ষে জাতীয় পার্টি-আওয়ামীলীগে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শহীদ বেধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এর পর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সেস্নাগান দিয়ে তাদের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠকে নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদড়্গিণ শেষে দোকানে দোকানে গিয়ে নির্বাচনের প্রচারনা করে। এর পর জেলা সদরের নারকেল বাগানে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে বেঠকে বসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, খাগড়াছড়ি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নিরাপদ তালুকদার।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্রগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সনম্বয়ক সোলায়মান আলম শেঠ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সি: সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ মিয়া,যুগ্ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার উদ্দিন,খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি ইসহাক,সাধারন সম্পাদক-আলা উদ্দিন সওদাগর, সংগঠনিক সম্পাদক-আবুল কাশেম,কোষাদড়্গ হারাধন পাল প্রমুখ।

বক্তব্যে সোলায়মান আলম শেঠ জাতীয় পার্টির উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের দু-সময়ে জাতীয় পার্টি ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার মানুষের পাশে ছিল সব সময় থাকবে। এছাড়াও তিনি ২৯৮ খাগড়াছড়ি আসন থেকে নির্বাচিত হলে পার্বত্য জনপদের উন্নয়ন, সাধারন মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে উলেস্নখ করেন।

এ দিকে নির্বাচনে মাঠে আওয়ামীলীগ ও পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে শংকা রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। এক দিকে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তাতে অংশ না নেওয়ার ঘোষনা অন্যদিকে এ আসনে একাদিক প্রার্থী  থাকায় জয় পরাজয়ের ভাগ্যের নাটায় এখন সাধারন ভোটারদের মধ্যে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।

পিরোজপুর থেকে রশিদ আল মুনান:  সোমবার পিরোজপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

সকালে সূযোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে পিরোজপুরে এ দিবসের সূচনা হয়।

এর পরপরই  জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি, আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একে একে স্থানীয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ৭১ এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুস্প মাল্য অর্পণ করে।

পরে স্থানীয় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া সন্ধ্যায় স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে।

কুড়িগ্রাম থেকে  মোস্তাফিজুর রহমান : রাত ১২টা ১মিনিটে তোপদ্ধনীর মধ্যদিয়ে শুরু হয় মহান বিজয়ের ৪২তম বার্ষিকী উদযাপন। জমকালো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রামে ২০জন মুক্তিযোদ্ধাকে সোমবার সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এ.বি.এম আজাদ, পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, সিভিল সার্জন ডাঃ লোকমান হাকিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসত্মাফিজার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রমুখ। যাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে তারা হলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অবঃ) আশরাফ উদদৌলা, মজিবর রহমান, আবুল আখের আলী, সামছুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, ওসমান আলী, আইয়ুব আলী, জহির উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, মজিবর রহমান, আবুল মালেক মিয়া, এরশাদুল হক, ফজলুল হক সরকার, সুশিল চন্দ্র রায়, আব্দুর রহিম সরকার, ডাঃ কে এম তৈয়ব আলী, রুহুল আমিন চৌধুরী, সেকেন্দার আলী, তোফাজ্জল হোসেন ও সাইফুর রহমান। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে দুপুরে একটি জাকজমকপুর্ণ মধ্যাহ্‌ ভোজের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও বিজয় কমিটির উদ্দোগে যথাযথভাবে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে স্টেডিয়াম মাঠে কুচ-কাওয়াজসহ বিভিন্ন রকমের খেলা-ধুলা এবং আলোচনার আয়োজন করা হয়। জেলার উলিপুরসহ সকল উপজেলায় অনুরুপ কর্মসুচী পালন করা হয়।

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) থেকে জাহাঙ্গীর হোসের : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে কুড়িঘাট বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে পৃথক-পৃথক র‌্যালীর আয়োজন করে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন।উপজেলা পরিষদের পক্ষে বিজয় র‌্যালীর নেতৃত্বদেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির স্বপন, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে ইউএনও মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি বাহার উদ্দিন সরকার,আওয়ামীলীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আযুব আলী, বিএপির পড়্গে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মবিন,জাতীয় পার্টির পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান খুরশিদ উদ্দিন,কৃষক দলের পক্ষে আহবায়ক শাহীন আহম্মেদ।

এ ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ও দলীয় অংগ সংগঠনের ব্যানারে র‌্যালীতে অংশ গ্রহন করেন শিড়্গক,শিড়্গার্থী,জনপ্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ মাঠে মনোজ্ঞ কোচ কাওয়াজ ও শারীরিক কসরদ প্রদর্শন করা হয়।

ঝিনাইদহ থেকে আহমেদ নাসিম আনসারী : ঝিনাইদহে বিপুল উৎসাহ আর উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ৬ টায় ৩১ বার তপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসুচি শুরু হয়।

সকাল ৭ টায় জেলা শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্টান্ড সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়। একে একে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাড. ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার, জেলা সিভিল সার্জন অফিস, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, ঝিনাইদহ ইলেকট্রনিক মিডয়া রিপোর্টার এ্যাসোসিয়েশন, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্ব স্তরের মানুষ।

মেহেরপুর থেকে রামিজ আহসান: নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। ভোরে শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।

কমলগঞ্জ থেকে সোহেল রানা : নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জে বিজয় দিবস পালন করা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া কর্মসূচীর মধ্য ছিল, রাত ১২টা ১মিনিটে ২১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের শুভ সূচনার পর কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ এমপির পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন কমলগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা।

এরপর উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, মহিলা ফান্ডেশন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান, সাপ্তাহিক কমলগঞ্জের কাগজ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, হীড বাংলাদেশ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, প্রত্যয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

আজ সকাল সাড়ে ৬টায় কমলগঞ্জের সকল বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৭টায় কামদপুরস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজার জিয়ারত, সাড়ে ৭টায় বীর প্রতীক শুকুর মাহমুদের সমাধিতে পুষ্পস্তক অর্পণ, সকাল ৮টায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পণ, সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, ওসি নিহার রঞ্জন দেবনাথ। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে শুরু হয় খেলাধুলা।

বেলা ১১টায় কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। দুপুর ১২টায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে জয় ও চিত্রকথা সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্ছিত্র, বাদ জোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন, বিকাল ৩টায় মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, বিকাল ৪টায় প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগীতা ও সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।

টাঙ্গাইল থেকে শামীম আল মামুন: টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

সকালে তোপ ধ্বনি ও শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসুচি শুরু হয়।

পরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চার উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা।

এ সময় সালাম গ্রহন করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক ও পৌর মেয়র সহিদুর রহমান মুক্তি প্রমুখ।

মৌলভীবাজার থেকে সজল দেব: বিজয়ের প্রথম প্রহরে মৌলভীবাজারের শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করলো সর্বস্তরের হাজারো ছাত্র-যুব-জনতা।

স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এবার অন্যরকম প্রাপ্তির এক বিজয় দিবস উদযাপন করছে পুরো জাতি। এই নবজাগরণের চেতনায় বিজয়ের প্রথম প্রহরে মৌলভীবাজার শহীদ মিনার সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি সৌধে নামে হাজারো জনতার ঢল।

রাত ১২টা এক মিনিট থেকে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান গণজাগরন মঞ্চ, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব, জাসদ, বাসদ, সিপিবি বিএনপি, ছাত্রদল-যুবদলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

এছড়াও শত-শত সাধারণ মানুষ রাতের অন্ধকার কাটিয়ে শহীদ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে আসেন।

বরিশাল থেকে মামুনুর রশীদ নোমানী : বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বরিশালে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। বরিশালে পুলিশ লাইনস মাঠে সূর্যোদয়ের আগে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের সূচনা হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি সব ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বিভাগীয় কমিশনার,পুলিশের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার,জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে সকাল সাড়ে ছ’টায় করেণ। সেখান থেকে সকাল ৭ টায় ত্রিশ গোডাউন বদ্ধভূমি অভিমুখে পদযাত্রা করেণ এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান ।

সকাল সোয়া নয়টার দিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান বরিশাল সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল। এরপর জেলা বিএনপি, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ,বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।এরপর একে একে আসতে থাকেন বিভিন্ন সংগঠন,শিশু-অভিভাবক। পুস্পমাল্য অর্পন করেন জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ডা.আব্দুর রহিম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার  , জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা পুলিশ সুপার।

বঙ্গবন্ধু উদ্যানে কুচকাওয়াজবরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং  হয়।কুজকাওয়াজে সালাম গ্রহন করেণ বিভাগীয় কমিশনার মো. নূরুল আমিন। সেখানে শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে অংশ নেয় নগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

খুলনা থেকে কাজী তারিক আহমদ: খুলনার গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে মানুষের ঢল নামে।

একে একে স্মৃতিসৌধে গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা।

এসব দল ও সংগঠনের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর, বিএনপি জেলা ও মহানগর, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ওয়ার্কার্স পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, শিল্পকলা একাডেমি, বিএমএ, রূপান্তর প্রভৃতি।

সরাইলে বিজয় দিবস পালিত

 সরাইল থেকে মোহাম্মদ মাসুদ: সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করে উপজেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), বিএনপি, সরাইল প্রেস ক্লাব, অন্যান্য রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সোমবার সূর্য উদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে অন্নদা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ১১টায় উপজেলা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের রজনি গন্ধা ফুল দিয়ে বরন করে দেয়া হয় সংবর্ধনা ও উপহার। নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।

বাদ যোহর উপজেলার সকল মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। বিকেলে দুই ইভেন্টে ফুটবল খোলা শেষে পুরস্কার বিতরন করা হয়।

পাবনা থেকে কলিট তালুকদার: মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে পাবনায় উৎসব মুখোর পরিবেশে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

রাত ১২ টা এক মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের সুচনা হয়। এরপর  পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স, জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা বিএনপি, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ “দুর্জয় পাবনায়” পুস্পার্ঘ অর্পন করেণ।

সকালে পাবনা ষ্টেডিয়ামে এক মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহন করেণ পাবনার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন।

এছাড়া বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, এয়ারগান শ্যুটিং প্রতিযোগিতা,  বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা এবং দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here