স্টাফ রিপোর্টার :: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুব প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সেই কাজে খুব একটা পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে আইন প্রণয়ণে এবং তা বাস্তবায়নে আমাদের অগ্রগতি ভালো। সারাদেশে শিশু আদালত বসানো হচ্ছে। যা আলাদাভাবে শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে। এর পাশাপাশি, দেশের প্রতিটি বিভাগে ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শেখ রাসেল দুঃস্থ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
আজ রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কাওরানবাজারে ইত্তেফাক কার্যালয়ে মজিদা বেগম মিলনায়তনে ‘শিশু সুরক্ষা ও উন্নয়ন: এসওএস শিশু পল্লীর ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসওএস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশ ও ইত্তেফাক আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে রাশেদ খান মেনন বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এতিমখানার ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের দেশের প্রচলিত সাধারন শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে নীতিমালা করা হচ্ছে। বেসরকারি এতিমখানাগুলোকেও সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার উদ্যোগ রয়েছে। এ সবকিছুই সরকারের শিশু সুরক্ষায় গৃহীত উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু আইন করেছিলেন। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আইনটি সংশোধন করেন। এখন এর আরো সংশোধন করে সংসদে গেছে। আশা করি, আগামি অধিবেশনেই আইনটি পাস হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সন্ত্রাস ও মাদকের ক্যারিয়ার হিসেবে শিশুদের জড়িয়ে পরার বিষয়টি রোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। অস্বীকার করার উপায় নেই শিশু পাচার বাড়ছে, বাড়ছে শিশু নির্যাতন। তবে, সরকার এসব সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল -৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেসা আফরোজ ও মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন এসওএস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর গোলাম আহমেদ ইসহাক।
‘শিশু সুরক্ষা ও উন্নয়ন: এসওএস শিশু পল্লীর ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসওএস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক ন্যাশনাল ফোকাল পারসন চায়না রানী সাহা। সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকের সিটি এডিটর আবুল খায়ের।
ইত্তেফাকের সাংবাদিক আসিফুর রহমান সাগরের সঞ্চালনা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক ছড়াকার আনজীর লিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. এ এস এম আতীকুর রহমান, শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান ড. খাজা শামসুল হুদা, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহেড়ীন, সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক মোঃ একরামুল কবীর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী আবদুল্লা আল মামুন, এসওএস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশের জাতীয় উপপরিচালক ডা. মোঃ এনামুল হক, ব্যারিস্টার মিতি সানজানা, কবি ও গণমাধ্যম কর্মী তাহমিনা শিল্পী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ পরিচালক এম. রবিউল ইসলাম।