কুমিল্লা থেকে এ.কে আজাদ: কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানা পুলিশের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের নিয়ে উপজেলার সাধারন জনগন মাঝে মিশ্র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ওসি তারেক মোহাম্মদ হান্নান দেবিদ্বার থানা যোগদানের পর থেকে আশংকাজনক ভাবে অপরাধ মূলক অভিযোগ বেড়েছে।ভারতীয় সীমান্ত থেকে অবাধে নামচ্ছে সর্বনাশা মাদকদ্রব্য।
চোরাকারবারীরা মাদকদ্রব্য চোরচালানের জন্য একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে।ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তরুন ও যুবসমাজ লোকজন নেশার দিকে যুকছে।
এরে কারনে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড অস্বাভাভিক হারে বেড়েছে।
এর মধ্যে হলে, মোটর সাইকেল ও সিএনজি চুরি, এমনকি পুলিশি হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।থানা পুলিশ থেকে মাদক চোরাকারবারীদের নানা সুযোগ সুবিধার কারনে এই উপজেলা গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট।
আর দেবিদ্বার থানায় বিভিন্ন অবৈধ খাতের ফান্ডটি যথার্থই চোখে পরার মত? তাই পুলিশ অফিসারদের পছন্দের থানা দেবিদ্বার।
সংশিস্নষ্ট সুত্র জানায় ,মাদক চোরাকারবারীদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক আনা নেওয়ার কাজটি চলছে এক প্রকার ওপেন সিক্রেট ভাবেই।উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় সর্বনাশা মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান অপরাধ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হাতে জিমী হয়ে আছে।
যে কোন সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে মাদকদ্রব্য ও পাচার।চোরাচালানের সদস্যরা নিরাপদ সড়ক হিসাবে সুযোগ সুবিদা মত মাদকে বড় বড় চালান প্রবেশ করেন।কুমিলস্না-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ও রাতে পৌছাইয়া দেয় সর্বনাশা মাদক ও চোরাচালান ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট মাদকদ্রব্য স্পট গড়ে উঠেছে এরে ফলে হাত বাড়লে মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে পাওয়া যায়।চোরাচালানের সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য মধ্যে ফেন্সিডিল, গাঁজা, হিরোইন, চোলাই মদ,রিকোডেক্র, বিয়ার, ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে।
তবে মাঝে মধ্যে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে এনে পুলিশ তাদের কর্মদড়্গতা প্রমানের চেষ্টা করে। উপজেলার,বড়শালঘর, ভিংলাবাড়ী, পান্নারপুল ষ্টেশন , রসুলপুর, কালিকাপুর, জাফরগঞ্জ, বেগমাবাদ, বাগুর সহ বিভিন্ন স্পটে মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের আসত্মানা রয়েছে যা পুলিশের তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যাবস্থা।
মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের সোর্সরাদের মাধ্যমে বা ক্যাশিয়ার দিয়ে মাস ভিত্তিক মাশোয়ারার টাকা আদায় করেন এবং নির্দিষ্ট মাসোহারার ভিত্তিতে এ মাদক ব্যবসা চালায় বলে জানান যায়।
থানায় পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায় টেকেন থাকা সত্বে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।থানা পুলিশরা মাদক ব্যবসা করার শুযোগ দিবে বলে মাসোহারার নিবে আবার অভিযান চালিয়ে ধরে নিবে কিংবা আশে পাশে লোকজনের বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা করবে এইটা ঠিক ? উপজেলার কোন না কোন স্থানে থেকে র্যাব,ডিবি পুলিশ অভিযানে মাদকসহ আটকে খবর পাওয়া যায়।এবং উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভা মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ জন্য সভা করে মাদকমুক্ত গ্রাম করার জন্য একাধিকবার মাদক প্রতিরোধ কমিটি দিয়ে সফলতার মুখ দেখছে না।
কারন এবং বিভিন্ন গ্রাম ও এলাকাবাসীরা বলেন,মাদক ব্যবসা যতই বেড়েছে ততই লাভবান হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু সদস্যরা।আর খোদ পুলিশের নাকের ডগায় দেবিদ্বার থানার কয়েকশত গজের মধ্যে হোটেল , দোকান এবং মেথর পট্টি সহ কয়েক স্থানে মাদক বিক্রি হচ্ছে অনেকটা রাখ ঢাক ছারাই।মাদক সিন্ডিকেট এবং সিএনজি ও ট্রাটর থেকে গোমতী নদীর বালু থেকে ,নকল এনার্জি ড্রিংস কারখানা থেকে অবৈধ খাত হতে দেবিদ্বার থানায় ফান্ডটি যথার্থই চোখে পরার মত আর তাই পুলিশ অফিসারদের পছন্দের থানা গুলির মধ্যে দেবিদ্বার থানাটিও খুবই পছন্দের।তবে উপজেলার আশে পাশের বেশ কয়েকটি উপজেলা হতে শিড়্গা,যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহ নানা দিক হতে উন্নত নাগরিক সুযোগ সুবিধার কারনে প্রবাসীদের পৌরসভা আবাসিক হিসাবে বসবাসের হার বেড়েছে বহুগুনে।
আর স্বামীর অবর্তমানে নিঃসঙ্গ স্ত্রীরা একাকিত্বের সুযোগে জড়িয়ে পড়ছে পরকিয়ায় যা ইদানিং আশংকাজনক হারে বেড়েছে। আর এইসব ঘটনার পরিপ্রেড়্গিতে বিবাহ বিচ্ছেদ সহ নানা বিপর্যয় নেমে আসছে সমাজে।
এই সব ঘটনার বেশীর ভাগই সামাজিক ভাবে নিস্পত্তি হয়ে যায় মান সম্মানের ভয়ে, আর যে সব অভিযোগ থানায় আসে তারও বেশীর ভাগ মামলা রুজু না হয়ে একপ্রকার দালারদের সহযোগীতায় চরা অবৈধ অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে সুরাহা করার কারনে সমাজে আইন শৃংখলার যথার্থ প্রভাব পড়ছে না। আর এই সব কারনে ও সমাজে , নারী নির্যাতন , মাদক সহ ভিবিন্ন ছোট খাট ঘটনায় উঠতি বয়সের তুরম্নন-যুবকদের সংশিস্নষ্টতার হারও বাড়ছে আশংকাজনক ভাবেই।
এ ব্যাপার দেবিদ্বার থানা অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন ,বর্তমানে আইন শৃংখলা আগের তুলনা অনেক ভাল সাম্প্রতিক ৬ টি মোটরসাইকেল চুরি ঘটনা আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয় এবং মাদকদ্রব্য উপর বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনেককেই মাদকসহ গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করি। এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল ও নিয়ন্ত্রনে আছে।