খোরশেদ আলম বাবুল।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচন জমজমাট হয়ে উঠেছে। যদিও এ নির্বাচনে সাধারণ জনগনের অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই, তারপরেও তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাসার ড্রয়িং রুম পর্যন্ত চলছে একই আলোচনা। কে হচ্ছেন এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান? জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার নাকি সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আবদুর রব মুন্সি। এ কৌতুহল এখন সবার মুখে মুখে।

শরীয়তপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার দুইজন হেভী ওয়েট প্রার্থী অংশ গ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি, বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার দলীয় সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাবেদুর রহামন খোকা শিকদার। অপর প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুর রব মুন্সী।

সবার ধারণা ছিল, বিএনপি যেহেতু এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেহেতু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহামন খোকা শিকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। কিন্তু সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করায় সে ধারণা পাল্টে যায়। এখন হিসাব কসতে থাকেন কে হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ? সাবেক সভাপতি নাকি বর্তমান সভাপতি ? এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রবীণ রাজনীতিবীদের সাথে আলাপ কালে বেড়িয়ে আসে চুল চেড়া বিশ্লেষণ। পক্ষে বিপক্ষে চলে আসে অনেক তর্ক বিতর্ক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরীয়তপুর জেলার কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, বর্তমান জেলা সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার নিঃসন্দেহে একজন ভাল মানুষ। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি যোগ্য প্রার্থী। আর রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। দলের প্রতি তিনি যথেষ্ট আন্তরিক। নেতা কর্মীরা তাকে যথেষ্ট পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি রাজনীতি করেন। ব্যবসার কারণে বেশীর ভাগ সময় তাকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। অনেক সময় ঢাকায় থাকার কারণে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না। যার ফলে তার সাথে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে তেমন সখ্যতা গড়ে উঠেনি।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আবদুর রব মুন্সি একজন সফল রাজনৈকিত নেতা। তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর সফল ভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি দীর্ঘ ৯ বছর শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ ৫০ বছর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে  তার  তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে রয়েছে নীবির সম্পর্ক। আজ তিনি দলের কোন দায়িত্বশীল পদে নেই বিধায়, জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে তার রাজনৈতিক চর্চা ধরে রাখতে চাচ্ছেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে  কাকে বেঁছে নিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here