দিনাজপুর ভ্রাম্যমান আদালত সেচ্ছাসেবক জিয়াউর রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমান করে

রফিকুল ইসলাম ফুলাল প্রতিনিধি দিনাজপুর :: বিশেষ ও.এম.এস পরিবারভিত্তিক রেশনিং কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে দিনাজপুর পৌরসভার ১১নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর মো: সানোয়ার হোসেন সরকারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ফরম বিক্রির অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।

দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার বিশেষ ও.এম.এস পরিবারভিত্তিক রেশনিং কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। সারাদেশের ন্যায় গত ২/৩ দিন আগ থেকে দিনাজপুর পৌর এলাকায় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে তালিকা তৈরীর কাজ কার্য্যক্রম শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলদের নির্দিষ্ট সংখ্যক ফরম বিতরণের নির্দেশ থাকলেও তারা বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য ফরম বিক্রি করে আর্থিক সুবিধা আদায় করছে। সরকারীভাবে এসব ফরম বিতরণের ক্ষেত্রে বিন্যামুল্যে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও এ নির্দেশ মানা হচ্ছে না।

দিনাজপুর পৌরসভার ১১নং ওর্য়াডের মিশনরোড, চাতরা পাড়া এবং দপ্তরীপাড়া মহল্লার বহু মানুষের অভিযোগ,করোনা মোকাবেলায় সরকার যখন মানুষকে সাহায্যের জন্য ত্রাণ এবং ও.এম.এস রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে এগিয়ে এসেছে তখন সামান্য একটি ফরমের জন্য কয়েক হাজার অসহায় দরিদ্র লোকের কাছে ফরম প্রতি ২০/৩০ টাকা করে নিচ্ছেন ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়োর হোসেন ও তার লোকজন।

মিশনরোড মহল্লার বাসিন্দা সরকারী ঠিকাদার মো: আনোয়ার হোসেন,রাবেয়া বেওয়া,মৌসুমী বেগমসহ অনেকেই জানান, ফরমের জন্য কাউন্সিলর সানোয়ার হোসেন সরকার অতিদরিদ্র মানুষের কাছে টাকা নিচ্ছেন এটা একেবারেই অন্যায়।

এব্যাপারে কাউন্সিলর সানোয়ার হোসেন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ফরমের জন্য টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের লোকজনেরা চক্রান্তমুলকভাবে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তবে তিনি জানান,এই দূর্যোগকালিন সময়ে আমাকে সহযোগীতার জন্যে মো: জিয়াউর রহমানসহ আরো একজনকে এলাকায় সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার জন্যে পরিচয় পত্র দিয়েছি।

তবে তার নিয়োগ করা সেচ্ছাসেবক জিয়াউর রহমানকে দিনাজপুর সদরের এসিল্যান্ড শাহরিয়ার রহমান ১০৬/২০২০ তাং ২৫/০৪/২০ ইং মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১০ হাজার টাকা জরিমান করেছেন।

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, পৌরসভায় মোট ৬ হাজার মানুষকে রেশনিং কার্ডের আওতায় আনা হবে, এব্যাপারে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে এবং ১২টি ওয়ার্ডেই কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিন্যামুল্যে ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। যাচাই-বাচাইয়ের পর প্রত্যেক ওর্য়াড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররা কাডর্টি বিতরণ করবেন।

তিনি বলেন, ফরম বিনামুল্যেই দেয়ার কথা বিক্রির জন্য নয়। কারা টাকা নিয়ে ফরম বিক্রি করেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না কিংবা কেউ তাকে অভিযোগও করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here