মোঃ আজিজুর রহমান ভূঁঞা বাবুল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি::

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই ট্রাকে পেছন থেকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজনসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।একই পরিবারের চারজনসহ নিহত সাতজনের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে।

নিহতরা হলেন-জেলার ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের মড়লবাড়ি গ্রামের ফজলুল হক (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), ছেলে আব্দুল্লাহ (১০) ও মেয়ে আজমিনা (৮), এবং নিহত ফজলুল হকের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৫),একই এলাকার রাকিব (৩৫) এবং ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা এলাকার তাইজুদ্দিন মন্ডলের স্ত্রী হেলেনা আক্তার (৫০)।

এ দূর্ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে উপজেলা নিগোরকান্দা গ্রামের ফাহাদ, বাবুল ও ফুলপুর উপজেলার রফিককে আশংকাজনকঅবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশার উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) মাঈন উদ্দিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায়
এসে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ২ শিশু,২ নারীসহ ৬ জন এবং পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরো একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ দুর্ঘটনার পর থেকে বাস ও ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছে।

পুলিশ নিহতদের পরিচয় সনাক্তে কাজ করছে। এ দূর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরাও কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনার পর এক ঘন্টারও বেশি সময় মহসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক চালকসহ জড়িত অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here