নিজস্ব প্রতিবেদক:: দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রাজধানীর তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আবুল হাসিম। তার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন। বর্তমানে দলীয় নেতাকর্মীদের সবচেয়ে আস্থাভাজন তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব লেহাজ উদ্দিন।
তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এবার সভাপতি পদে বর্তমান সহ-সভাপতি আলহাজ্ব লেহাজ উদ্দিন ছাড়াও মাঠে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা এম.ডি হালিম ও নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ। প্রার্থীদের মধ্যে আলহাজ্জ্ব লেহাজ উদ্দিনের নাম বেশি আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি সবসময়ই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তুরাগবাসীর উন্নয়নের কথা ভেবে তাদের পাশে শক্ত ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।
বর্তমানে তিনি তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকার উন্নয়ন, মাদক নির্মূলে ও যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল হাত থেকে রক্ষার জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনীতির শুরু হয় ১৯৭২ সালে টঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়ে। পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর তিনি তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ ১২ বছর। সবশেষে তিনি ২০১৬ সাল থেকে ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সোচ্চার আলহাজ্ব লেহাজ উদ্দিন। নয়ানগর রফিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে মুজিবীয় আদর্শ বুকে ধারণ করে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিভিন্ন সময়ে মামলার আসামি হয়ে পরিবারকে হুমকির মুখে ফেলে কারাভোগ করেন। বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের মুখে পরিবার-পরিজন ও সন্তানাদি নিয়ে এলাকা ছাড়তেও বাধ্য হন। এছাড়াও ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভায় অংশগ্রহণ করে ভয়ংকর গ্রেনেড হামলার সাক্ষী হন।
ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান এ বিষয়ে বলেন, কারো পছন্দ অপছন্দের কোনো জায়গা এখানে নেই বললেই চলে। কোনো অসুদপায় অবলম্বন করারও সুযোগ নেই। সংগ্রামের মাঠে যোগ্য প্রার্থীকেই মূল্যায়ন করা হবে।