তিস্তা রেল সেতুতে ঝুকি নিয়ে চলছে ট্রেন

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :: ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার রেল যোগাযোগের জন্য লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা এলাকায় নির্মিত হয় তিস্তা রেল সেতু। ১৮৩৪ সালে নির্মিত সেতুটির মেয়াদ ওই সময় ধরা হয়েছিল ১ শত বছর। অথচ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সেতুটির বয়স চলছে বর্তমানে ১ শত ৮৫ বছর। অর্থাৎ মেয়াদের প্রায় দ্বিগুন সময় পার করছে এ রেল সেতুটি। বর্তমানে ঝুকি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন ২০ টি ট্রেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে। অবশ্য রেলমন্ত্রী নজরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি বলেছেন, ঝুকিপূর্ন লালমনিরহাট রেল সেতুর পাশে আরও একটি সেতু নির্মানের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার সাথে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার সীমান্তে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হয় তিস্তা রেল সেতু। নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮৩৪ সালে ২ হাজার ১ শত ১০ ফুট দৈর্ঘের এ সেতুটি নির্মাণ করে। তখন এটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রেল সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সেতুটির দক্ষিন পাশে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা, উওর পাশে লালমনিরহাট সদর উপজেলা অবস্থিত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিত মিত্র বাহিনীর বোম্বিং করায় একটি গার্ডার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে কিছুদিন ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ১৯৭২ সালে সংস্কারের পর সেতুটি পূনরায় চালু হয়। ট্রেনের পাশাপাশি ওই সেতু দিয়ে বাস ট্রাকসহ অন্য যানবাহনও চলাচল শুরু হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, মেয়াদ শেষ হলেও লালমনিরহাট তিস্তা রেল সেতুটি ঝুকিপূর্ন নয়। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সেতুটি মেরামত করা হয়েছে। এ সেতু দিয়ে আগে মাত্র ৩০-৩৫ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতো। কিন্তু এখন ট্রেন চলছে ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে। তাই ভয়ের কোন কারন নেই। তার পরও পাশে আর একটি নতুন সেতু নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here