সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
পটুয়াখালীতে শালিস বৈঠকে মো. তুহিন (২০) এবং মো. কালু গাজী (২২) নামে দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে মাথায় আলকাতরা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড এর সদস্য আবু সায়েম গাজীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে গলচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে চর মহিউদ্দিন গ্রামের নোমর সুলিজ সংলগ্ন আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।তুহিন চরবাংলা গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে এবং কালু গাজী একই এলাকার লিটন গাজী ছেলে।
নির্যাতনের শিকার তুহিনের পিতা ইউসুফ হাওলাদার জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে চরবাংলা গ্রামের অহিদুল মৃধার বিয়ে ছিলো। বিয়েতে অন্যান্যদের সাথে বরযাত্রী হিসেবে তার ছেলে চরবাংলা থেকে চর মহিউদ্দিন নোমর সুলিজ সংলগ্ন আবাসনে নুরু সর্দারের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে দুপুরে খাবারের পর বাড়ির পাশে স্থানীয় এক মেয়ের সাথে তার ছেলেরা দাঁড়িয়ে কথা বলে। এ সময় ওই মেয়ের ভাই কথা বলতে দেখে তুহিন এবং কালু গাজীকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আবু সায়েম গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শালিস বৈঠক বসিয়ে দুই যুবকে মারধর করে নিজ হাতে খুর দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়ে দেন।
নির্যাতনের শিকার তুহিন এবং কালুগাজী বলেন, আমরা কোনো অপরাধ করিনি। আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। এ ঘটনার বিচার চাই আমরা।
চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড চর বাংলার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাসান সর্দার বলেন, ‘ছেলেরা অপরাধ করলে তার বিচারের সুযোগ আছে। অভিভাবকদের ডেকে কথা বলা যেত, কিন্তু এই আধুনিক সমাজে এভাবে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা দেয়ার ঘটনা অমানবিক। আমরা এ ঘটনায় বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সদস্য আবু সায়েমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন শালিস বৈঠক হয়নি এবং আমি কারো মাথা ন্যাড়া করে দেননি। আর যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে তার ভিডিও ফুটেজ কোথায়। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)   শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here