তজুমদ্দিন প্রতিনিধি :: ভোলার তজুমদ্দিনে মহামারী করোনার মধ্যে সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য। এক ধরনের অর্থলোভী শিক্ষক দীপক কুমার দাস কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গণজামায়েত করে চালিয়ে যাচ্ছেন তার প্রাইভেট ও কোচিং।

সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে মরণঘাতি করোনার (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে গত ১৬ মার্চ ২০ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং ও প্রাইভেট পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করেন সরকার। কিন্তু তজুমদ্দিনে কিছু অর্থলোভী শিক্ষক দীপক কুমার দাস সরকারের এই নির্দেশনাকে অমান্য করে স্কুলের মধ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাইভেট কোচিং। সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি সংশ্লষ্ট প্রশাসনকে। কোচিংয়ের প্রতিটি ব্যাচে ১৫-২০জন শিক্ষার্থীকে ঝড়ো করে পড়াচ্ছেন গত কয়েকদিন যাবৎ এ উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চললেও বন্ধ হয়নি কোচিংবাজ শিক্ষকের প্রাইভেট ও কোচিং।

সরজমিনে বুধবার সকাল ৯টায় দেখা যায়, সোনাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দিপক কুমার দাস কোচিং করছেন স্কুলের একটি রুমে। ব্যবহার করছেন সরকারী বিদ্যুৎ। তিনি প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, করোনার মধ্যে দীপক স্যারকে স্কুলে প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করা হয়েছে কিন্তু তিনি তা শুনেননি। এ সম্পর্কে তারটা সেই ভালো জানেন আমি কিছু জানি না।

উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, করোনার মধ্যেও কিছু শিক্ষক কোচিং ও প্রাইভেট চালিয়ে যাচ্ছেন এটা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছাড়া কিছু না। প্রাইভেট ও কোচিং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দীপকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত নেই। সাধারণ অভিভাবকদের দাবী কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকদের খুঁজে বের করে শাস্তি আওতায় আনতে না পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে যাবে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট বিক্রির কারখানা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, করোনার কারণে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগীত করা হয়। কিন্তু তারপরও স্যার আমাদেরকে পরীক্ষা নেয়ার কথা বলে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। আদৌ আমরা জানিনা আমাদের শেণি পরীক্ষাগুলি হবে কিনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আলী বলেন, করোনার মহামারীর মধ্যে দীপক স্যার প্রাইভেট পড়াচ্ছেন তা আমার জানা নেই। তদন্ত করে দোষী সাব্যস্থ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, প্রাইভেট কোচিং যেহেতু সরকারীভাবে নিষিদ্ধ সেহেতু কেউ প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ-খবর নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here