মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন:: আমাদের বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের ছোবলে দিশেহারা, স্কুল কলেজ বন্ধ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু মানানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা স্বচল। মানানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছে। যার ফলে স্কুল কলেজের ক্লাস চলছে অনলাইনে। শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল হিসাবে বাসায় বসে লেপটপে বা মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস করছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষকরা ক্লাস এর ভিডিও ফেইজবুকে আপলোড করছে। শিক্ষার্থীরা সেই ক্লাসের ভিডিও দেখে পড়াশুনা করছে।

করোনা মোকাবেলার জন্য সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষনা করেছে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে বাসায় বসে অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধমে টাকা লেনদেন হচ্ছে। মোবাইলে, নোটবুকে বা লেপটপে ঘরে বসেই বিভিন্ন ব্যাংকের এপস এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিচ্ছে মোবাইলে। যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না হয়। এতে দূর্নীতি কমে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে ব্যবসায়ীরা দোকানের চুরি ও অপরাধ ঠেকাতে দোকানে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে সব পর্যবেক্ষন করতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে দামী প্রাইভেট কারের মালিক তার গাড়ী কোথায় আছে, কত মাইল গতিতে চলছে তা মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারছে। অনেক মার্কেটিং কোম্পানী তথ্য প্রযুক্তির সুফল হিসাবে মোবাইলের অ্যাপসের মাধ্যমে অর্ডার নেয়া, অফিসের হাজিরা দেয়া কাজ করছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা গত বছরের করোনাকালীন সময়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভার্চয়ালি সারা দেশের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে মিটিং করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের জেলা প্রশাসক, সাংসদ, ডাক্তার, নার্স এবং সাধারন জনগণের সাথে কথা বলেছেন। তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা সমাধানের দিক নির্দেশ দিয়েছেন। যা বিগত সরকারের আমলে কেউ কল্পনা ও করতে পারেনি। এখন আর ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল হিসাবে ঘরে বসে মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করছে। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত হতে টাকা অতি সহজে চলে আসে মোবাইলে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল হিসাবে বিভিন্ন রাইডের এপস এর মাধ্যমে বাসায় বসে প্রাইভেট কার বা মোটর সাইকেল ভাড়া করে প্রয়োজনীয় স্থানে যাতায়াত করা যাচ্ছে নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে। ঘরে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার অর্ডার করে ডেলিভারী পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতির সুফল হিসাবে ঘরে বসে বিভিন্ন খাবারের আইটেম অর্ডার করে মুহুর্তে ঘরে পাওয়া যাচ্ছে। করোনা কালীন চিকিৎসকরা ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। প্রবাসীরা ভিডিও কলের মাধ্যমে বাবা মা ও স্ত্রী সন্তারের সাথে সহজেই ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলতে পারছে।

তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট এখন অনলাইনে কেনা যাচ্ছে এবং ঘরে বসে রেলের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে, যা ছিল কল্পনা। বাসের টিকেট, বিমানের সিট বুকিং ও টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। যা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে অনেক অনলাইনে পত্রিকা বের হয়েছে। যা ফলে যে কোন সংবাদ সহজেই সাধারন মানুষ জানতে পারছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, তার সুফল আজ বাংলার প্রতিটি নাগরিক ভোগ করছে। পত্রিকাগুলো আজ ডিজিটালাইজ হয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে ঘরে বসে অনলাইনে তাৎক্ষনিক ঘটে যাওয়া যে কোন সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সংবাদেরও লাইভ দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রতিটি টিভি চ্যালেন আজ বঙ্গবন্ধু সাটেলাইট এর মাধমে সম্প্রচার হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেক ধাপ এগিয়ে গেছি।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে অনেক গৃহীনি ঘরে থেকে অনলাইনে শাড়ী কাপড়ের ব্যবসা করছে। তার জীবিকা নির্বাহ করছে ঘরে বসে।

কোভিড-১৯ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারনে অর্থনীতিতে আঘাত হানতে পারেনি। উন্নত দেশের মত আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ সামনের দিকে মাথা উঁচুৃ করে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করোনার মহামারিতে অর্থনীতির চাকা স্বচল রেখেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে আমাদের বাংলাদেশ বিশ্বের ধনী দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

আজ আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছি তার জন্য ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here