মোহাম্মদ শাহীন, ডিআইইউ প্রতিনিধিঃ করোনা পরবর্তী পৃথিবী এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের নানা সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘৪র্থ শিল্পবিপ্লবে ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় অনুষ্ঠান৷

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিএসই বিভাগের আয়োজনে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিওইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এছাড়াও আলোচকদের মধ্যে আরও সংযুক্ত থাকবেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) সভাপতি, অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। আমাজন ওয়েব সার্ভিসের পরিচালক এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহম্মদ মাহদী-উজ জামান এবং কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভিজিটিং সহকারী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

এ সম্পর্কে ওয়েবিনার আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হিসেবে ডিজিটালাইজেশন আমাদের কাজের সব ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তবে এই পরিবর্তনকে আমি সূচনা হিসেবে দেখি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রধান প্রধান যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশ এবং টেকসই মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরি ও টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে।’

‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সূচিত হতে যাচ্ছে ফিউশন অব টেকনোলজিস তথা প্রযুক্তিগুলোর সংমিশ্রণের মাধ্যমে। আর এসব প্রযুক্তি হবে ফিজিক্যাল, ডিজিটাল ও বায়োলজিক্যাল জগতের। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমস ও ক্লাউড কমপিওটিং নিয়ে’, বলেন তিনি।

ড. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘মোটামুটিভাবে ‘সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমকেই বলা হচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সূচনাকারী হিসেবে। সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমকেন্দ্রিক এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে অভিহিত করা হচ্ছে বিভিন্ন নামে- Industry 4.0, or the fourth industrial revolution। আর বলা যায়, এটি অটোমেশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজির বর্তমান প্রবণতা।’
‘আমরা এক প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন, ইন্টারনেট অব থিংস, যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, রোবোটিকস, জৈবপ্রযুক্তি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়গুলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সূচনা করেছে’, বলেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here