টানাবর্ষণে বান্দরবান-রাংগামাটি সড়ক বন্ধ: সেতু নিমজ্জিতএনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: টানা তিনদিনের মাঝারি বর্ষণে বান্দরবান জেলা শহর,লামা উপজেলা সদরের ব্যাপক এলাকাসহ জেলার নিচু অঞ্চলসমুহ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে জেলা শহরের অদুরে বান্দরবান-রাংগামাটি সড়কের পুল পাড়া এলাকায় বেইলি সেতু বানের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে এখন মানুষ পারাপারে ব্যবহার হচ্ছে নৌকা। জেলার লামা উপজেলা সদরের নিচু এলাকাসমুহ বন্যায় ডুবে গেছে।

জেলা শহরের মধ্যমপাড়া,বরিশাল পাড়া,উজানিপাড়া, ইসলামপুর,আর্মিপাড়া এবং ইসলামপুরসহ ১২টি এলাকা পাহাড়ি ঝিরি ও সাংগু-মাতামুহুরী নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। থেমে থেমে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জেলায় ব্যাপক পাহাড়ধসের আশংকাও দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন,বান্দরবান ও লামা পৌর কর্তৃপক্ষ পাহাড়ধসের ঝ’ঁকিতে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্যে রোববার রাত থেকে দফায় দফায় মইকিং করেছে।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো.আসলাম হোসেন এবং বান্দরবান পৌর মেয়র মো.ইসলাম বেবী বন্যার্ত এলাসামুহ পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, জেলা শহর এবং লামা উপজেলা শহরে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহে অস্থায়ী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যার্ত এলাকাসমুহ এবং পাহাড়ধসের শংকাগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পৌর কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা,লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু মারমা এবং থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা জানিয়েছেন, এসব উপজেলার নিচু এলাকাসমুহ বানের পানিতে ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে। সাংগু এবং মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার বরাবরে প্রবাহিত হচ্ছে রোববার রাত থেকে। নদী ২টিতে পানির প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ জানিয়েছেন, সোমবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে রাতেই বান্দরবান জেলা শহর চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। জেলা সদরের সাথে রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়কপথের যোগাযোগও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবা মং মারমা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here