ঝিনাইদহ : শিশুসহ ১১ মাসে  ১১টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে। উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।

হরিণাকুণ্ডু থানা সূ্‌ত্রে জানা যায়, সামাজিক দ্বন্‌দ্বসহ, এলাকায় আধিপত্ত বিস্তার, চরমপন্থী সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরিন দ্বন্‌দ্ব ও বিভিন্ন কারণে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বছরের নিষ্পাপ শিশু আফ্রিদিকে খুন করে দূর্বৃত্তরা। যাদবপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

একই মাসে বৈঠাপাড়া গ্রামে মানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে  খুন করে তার স্ত্রী।

মাচের্র ৮ তারিখে প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে খুন হয় নারায়নকান্দি গ্রামে কলম আলী নামে এক সন্ত্রাসী ।

মে মাসে দলোখালী মাঠে আভ্যান্তরিন দ্বন্ধ প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে খুন হয় পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার সন্ত্রাসী শাহাবুল।

একই মাসে  উপজেলার চারাতলা নাওটানার মাঠে সন্ত্রাসী ফারুককে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।

জুনের ৪ তারিখে মাকরুননাহার পনি নামে এক মহিলাকে খুন করে স্বামী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন উপজেলার দূর্লভপুর গ্রামে।

একই মাসে পৈলানপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে শ্বশুর পক্ষের লোক।

জুলাই মাসে ৭ বছরের শিশু সন্তান প্রথম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র আসাদকে গ্রামের শিশেরদাড়ির মাঠের পাট ক্ষেতে হত্যা করে  দূর্বৃত্তরা।

সেপ্টেম্বরে উপজেলার দখলপুর গ্রামে ক্যানালের পাশে কৃষক ইজাল উদ্দিনকে জবাই করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

অক্টোবরের ২৮ তারিখে  উপজেলা আলোচিত হত্যাকাণ্ড ছিল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দৌলতপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হত্যাকাণ্ড।

সবশেষে চলতি মাসের ১ তারিখে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পাটির্র আঞ্চলিক কমাণ্ডার জিয়া কে চারাতলা  মাঠে রাস্তার উপর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পোলতাডাঙ্গা, ফতেপুর, পারদখলপুর, পার্বতীপুর আমের চারা, শূড়া, হাসপাতাল মোড়, তাহেরহুদা, নারায়নকান্দি সহ বেশ কিছু গ্রাম এসব নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন ও অপহরণ কারী চক্রের অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ৩ মার্চ হরতালে জামায়াত শিবির কর্মীদের  হাতে উপজেলার এক পুলিশ কনস্টেবল খুন হবার পর এ মামলায় পুলিশের ব্যস্ততা ও বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পুলিশ প্রশাসনের এ সমস্ত বিষয়ের ব্যস্ততার কারণে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা, এমনই ধারণা করছে সাধারণ মানুষ।

জানতে চাইলে হরিণাকুণ্ডু থানার পুলিশ পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটায় ভাল আছে।

আহমেদ নাসিম আনসারী/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here