ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে সহযোগীতা করায়  এক কেন্দ্র সচিব ও এক হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, আড়পাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ৬ নং কক্ষে উক্ত বিদ্যালয়ের রেজেওয়ানা করিম ইভা (রোল নং ৪২০৪) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ সময় মনোহরপুর বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী হল সুপার আরিফ বিল্লার মোবাইল ফোনে ছাত্রী ইভার পিতা বারবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজের মেয়ে ইভার অংকের  সংক্ষিপ্ত ২০ মার্কের উত্তর বলে দেন। এই ঘটনায় ঐ হলের পরীক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পরীক্ষা শেষে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন।

ইউ এন ও আনজুমান আরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এর পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসত্মাক হোসেন আড়পাড়া সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম ও একই কেন্দ্রের হল সুপার আরিফ বিল্লাহকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাক হোসেন এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য , সমাপনী পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে কালীগঞ্জে প্রাইভেট ও কোচিং দানকারী শিক্ষক সিন্ডিকেট পরীক্ষার হলে নজির বিহীন দূর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে এবং বিভিন্ন কৌশলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছেলে মেয়েদের বৃত্তি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এ নিয়ে অভিভাবকদের দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনজুমান আরা জানান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here