ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রাম থেকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সীমা খাতুন (১৮) ও আমিনুর রহমান (২০) নামে দুই প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা প্রেমিক-প্রেমিকা বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে।

সীমা খাতুন মাগুরা জেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের কন্যা এবং আমিনুর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের আলমগীর মোল্লার ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, দুই গ্রামের ছেলে মেয়ে হলেও সীমা ও আমিনুরের বাড়ির দুরত্ন প্রায় ২শত গজ দুরে। তাদের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দেড় মাস আগে মেয়ের পিতা সীমাকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের রমজান আলী ছেলে জাহিদের সাথে বিয়ে দেন।

ওসি আরো জানান, ঈদুল আযহার আগের দিন সিমা শ্বশুর বাড়ী থেকে পিতার বাড়ীতে ফিরে আসে। গতকাল মঙ্গলবার আমিনুর ও সিমা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। উভয় পরিবার অনেক খোঁজাখুজির পরও তাদের সন্ধান পায়না। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গ্রামবাসী তাদেরকে আমিনুরের বাড়ির  সামনের পুকুর পাড়ের একটি গাছে গলায়  ফাঁস নিয়ে ঝুলতে দেখে।

গ্রামবাসি শান্তি মিয়া জানান, স্কুল জীবনের প্রেমিক-প্রেমিকা ছিল সীমা ও আমিনুর। তাদের মধ্যে প্রায় ৭/৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল॥ কিন্তু পরিবার দুটির মধ্যে বৈষম্য থাকায় বিয়ে হয়নি তাদের। এর মধ্যে দেড় মাস আগে বিয়ে হয়ে যায় প্রেমিকা সীমা খাতুনের।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থ থেকে জানান আপাতঃ দৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও গাছে ঝুলানো দুটি মৃত দেহ মাটিতে বসা অবস্থায় পাওয়া গেছে। যে কারনে ঘটনাটি রহস্য জনক বলে মনে হচ্ছে।

তবে এস আই রিপন কুমার দাস জানান, এই মৃত্যু রহস্য জনক মনে হলেও উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে আপত্তি না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই বুধবার লাশ স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here