সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যশোর

যশোরের ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বুধবার রাতে খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ১২টায় যশোর প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। অপরদিকে, এর প্রতিবাদে ঝিকরগাছায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। এসময় বিএনপি নেতাককর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া জেলা বিএনপি শনিবার যশোরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালসহ তিন দিনের কর্মসূচী আহবান করেছে। প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাতেই নিজের অপহরণের কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন নিহত বিএনপি নেতা নাজমুল।

এ খবর পাওয়ার পর জেলা নেতৃবৃন্দ র‌্যাব ও পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। কিন’ র‌্যাব-পুলিশ তাদের অভিযোগ আমলে নেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এসময় উপসি’ত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স’ায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, পৌর মেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম প্রমুখ। এারে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানিয়েছেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা তিনদিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, মিলাদ-মাহফিল।

একইসাথে জেলা বিএনপির নেয়া বিজয় দিবসের সকল কর্মসূচী স’গিত করা হয়েছে।নিহত বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কীর্তিপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। দু’ভাই ও এক বানের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ। নাজমুর ইসলাম তিন ছেলের জনক। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। বেনাপোলে তার রিয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি ২০০৪ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন বলে জানা যায়। এর দু’এক বছরের মধ্যেই তিনি লাইম-লাইটে চলে আসেন। এরপর তিনি জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানা ও দুদকে একাধিক মামলা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here