ডেস্ক রিপোর্ট:: আগামীকাল ফাইনাল ম্যাচটা হয়ে গেলে ফেডারেশন কাপ ফুটবল শেষ। দুই দিনই পরই প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে। ফেডারেশন কাপ ফুটবলে বেশি কিছু ভালো ম্যাচ হয়েছে। দর্শক উত্তেজনাপূর্ণ খেলা দেখেছেন। নাটকীয় ঘটনাও ঘটছে। জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে থাকলে তার জন্য কাজটা কত সহজ-ই না হতো। কিন্তু জেমি ডের ভাগ্য হলো না ফেডারেশন কাপ ফুটবল খেলা দেখে খেলোয়াড় নির্বাচন করার। দুর্ভাগ্য কোচের, দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের ফুটবলের।

প্রতিবারই এমন কোচ নিয়োগ দেওয়া হয় যিনি বেশির ভাগ সময় কাটান তার দেশে। খেলোয়াড় বাছাইয়ে তার প্রত্যক্ষ কার্যক্রম দেখা যায় না কখনো। পূর্বের তালিকা দেখে অন্যের কাছ থেকে মতামত নিয়ে জাতীয় দল ঘোষণা করা হয়। ডাকার পর জানতে পারেন চোট পাওয়া খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে।

করোনার কারণে চলে গিয়েছিলেন জেমি ডে। মাঝে একবার এসেছিলেন গত নভেম্বরে। নেপালের বিপক্ষে ফুটবল সিরিজের দুই ম্যাচ শেষ করে কাতার গিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের খেলা ছিল কাতারের বিপক্ষে, ৪ ডিসেম্বর। খেলা শেষ করে সেখান থেকেই ইংল্যান্ড ফিরে গেছেন জেমি। বাফুফে বলেছিল ক্রিসমাস এবং ইংরেজি বছরটা উদযাপন করে তিনি ঢাকায় ফিরবেন। বিশ্বব্যাপী ক্রিসমাস এবং ইংরেজি বছর কাটিয়ে মানুষ কাজে যোগ দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইংলিশ ফুটবল কোচ জেমির ক্রিসমাস এবং ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন এখনো শেষ হয়নি।

সত্য কথা হচ্ছে বিদেশি কোচ যাদেরই চাকরি দিয়েছে বাফুফে তারা এভাবেই কাজ করে গেছেন। বেতন দিয়েছেন ৩০ দিনের। কিন্তু কর্মঘণ্টা হিসাব করলে দেখা যাবে কোচের লাভের পাল্লাটাই ভারী। বাংলাদেশ কতটুকু পেয়েছে, লাভবান হয়েছে, প্রাপ্তির খাতায় হিসাব মেলানোটা কঠিন। খেলোয়াড়দের খেলা দেখেন ভিডিও কলে। কোচ আসেন জাতীয় দলকে অনুশীলন করান, ম্যাচ শেষ হলেই আবার চলে যান। পরীক্ষার আগের রাতে শিক্ষার্থীকে যেভাবে পড়ান শিক্ষক। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রায়-ই বলেন খেলা নেই বসে থেকে কী করবে।’

জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের জন্য বেতন দেওয়া হয়। জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও এই খেলোয়াড়দের নিয়েও কাজ করার অনেক সুযোগ থাকে। জাতীয় দলে সার্ভিসেস দিতে পারবেন দীর্ঘদিন আজ পর্যন্ত এমন এক জন ট্যালেন্ট ফুটবলারের সন্ধান দিতে পারেননি জেমি। পাইপ লাইনে খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখতে মূল জাতীয় দলের পাশে জাতীয় ‘এ’ দল, ‘বি’ দলও গড়েননি। মূল জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে ‘এ’ দল, ‘বি’ দল গড়ে অনুশীলন করাতে পারতেন। কিন্তু জেমিকে সেরকম কিছু করতে দেখা যায় না।

জাতীয় দলের খেলা নেই হুট করে বাড়ি চলে যান। কোনো জবাবদিহিতা নেই। ফুটবল অঙ্গনের মানুষরা বলেন, ‘বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটি জেমিকে জামাই আদরে রেখেছে। প্রশ্ন করেন এই জামাই কোচ জেমি কবে ঢাকায় ফিরবেন? বাফুফে হতে জানা গেল লিগের শুরুতেই চলে আসবেন। ঢাকায় ফিরেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ১৪ দিন চলে গেলে লিগের অনেকগুলো খেলা দেখতে পারবেন না। না পারলেও অসুবিধা নেই তার বেতন পাবেন নির্ধারিত সময়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here