ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর উপকারিতার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। রাস্তাঘাটে কিংবা বাজারে খুবই সহজলভ্য এটি। রস হিসেবে খাওয়া যায় আবার ত্বকের প্রদাহে প্রতিষেধক হিসেবেও লাগানো যায়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন-এ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে।
বর্তমানে আমাদের অনেকেরই বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ টবে লাগানো থাকে। এই উদ্ভিদ হৃদযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, মুখের ঘা, পেটের সমস্যা, ত্বকের সুরক্ষায় ও আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস করে এলোভেরা পাতার নির্যাসের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অনেক সময় অ্যালোভেরা পাতার নির্যাসের শরবত রাস্তাঘাটে বিক্রি করতে দেখা যায় কিন্তু এই গুলি খাওয়া উচিত নয়, এর থেকে ভালো আপনি ঘরে তৈরী করুন।
ডায়াবেটিস
যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
চুলের যত্নে
চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে এতে চুলের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে
ওজন কমাতে
ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস অনেক বেশ কার্যকরী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হার্ট ও দাঁতের যত্নেঅ্যালোভেরার জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা ও ইনফেকশন নিবারণে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা কীভাবে গ্রহন করব
এটিকে আইস কিউব হিসাবে বরফ করুন: অ্যালোভেরা জ্বলন প্রশমিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাতলা জেলটি একটি আইস-কিউব ট্রেতে ঢেলে এবং হিমায়িত করা যায় এবং তারপরে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণের জন্য আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই কিউবগুলি স্মুডিতে ব্যবহার করতেও পারেন। ফলের স্মুদি এবং মিশ্রণের সময় আপনার ব্লেন্ডারে এই অ্যালো জেল কিউবগুলির কয়েকটি যুক্ত করুন।
বাড়িতে খাওয়ার জন্য অ্যালোভেরা তৈরি করার সময়, অবশ্যই একটি নিশ্চিত করতে হবে যে ক্ষীরটি সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা হয়েছে কিনা , কারণ এটি উদ্ভিদের একমাত্র অংশের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এটি প্রতিদিন অ্যালোভেরা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না এবং আপনার ডায়েটে অ্যালোভেরা যুক্ত করার আগে ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টি বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলাই ভাল।