স্টাফ রিপোর্টার :: টেস্ট ও ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবাল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাশের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এ ম্যাচ জিতে আবার দারুণ একটি কীর্তি গড়লো বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তিন সংস্করণেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি বোলারদের তোপে প্রথমে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ও ২৫ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

বুধবার (১১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলীয় ৭৭ রান তোলেন লিটন দাশ ও নাঈম শেখ। ছন্দে থাকা নাঈম ১১তম ওভারে ক্রিস এমপোফুর বলে বিদায় নেন। ৩৪ বলে ৫টি চারে ৩৩ করে বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে থাকা টিনাশে কামুনহুকামউইকে ক্যাচ দেন।

তবে এরপরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দারুণ ফর্মে থাকা লিটন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৫ বলে ৮ চারে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডান হাতি। ১৬ বলে ২ ছক্কায় হার না মানা ২০ করে জয় সহজ করে দেন ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্য সরকার।

এর আগে বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে নামলে দলীয় তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জিম্বাবুয়ে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউইকে বিদায় করেন আল-আমিন হোসেন। ব্যক্তিগত ১০ রানে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের কাছে ক্যাচ দেন তিনি।

তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭ রান তোলেন ব্র্যান্ড টেইলর ও ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু দলীয় ১২তম ওভারে নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিলেন আফিফ হোসেন। তার বলে তুলে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত হন আরভিন। ৩৩ বলে ৩টি চারে ২৯ করেন তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মেহেদি হাসান, আল-আমিন মোস্তাফিজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তেমন কেউ দাঁড়াতে পারেননি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন টেইলর। ওপেনিংয়ে নেমে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পান মোস্তাফি ও আল-আমিন। আর একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান ও আফিফ।

এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে তিনটি পরিবর্তন এসেছে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তামিম ইকবালকে। বাদ পড়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শফিউল ইসলাম। তাদের পরিবর্তে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ, আমিন হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ সুযোগ পেয়েছেন। পেসার হাসান মাহমুদের আবার এ ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হলো। এদিকে জিম্বাবুয়ে দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। একাদশে পেসার ডনাল্ড টিরিপানোর জায়গা নেওয়া হয়েছে চার্লটন সুমাকে।

ম্যাচ সেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হন লিটন দাশ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here