ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে অবস্থিত আবু বকর বিশ্বাস ও মকছেদ আলী মহিলা আলিম মাদরাসার শিক্ষিকা নাজিরা বি এড জাল সনদ দিয়ে চাকরী করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ঐ শিক্ষিকা ঝিনাইদহের বিদ্যাসাগর বি এড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে। যার রোল ছিল ৮১১২১৪ এবং রেজিষ্ট্রেশন ছিল ৭৯৮৩৪৯।

জানা গেছে, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ঐ শিক্ষিকা মাদরাসায় এসে সকল শিক্ষকের সামনে ফেল করার কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু দু’মাস পরই তিনি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও নজরুল ইসলাম কে ম্যানেজ করে একটি জাল সনদ দিয়ে বিএড স্কেল আবেদন করেন। তিনি ২৩ জুন সমুদয় কাগজ ডিওতে প্রেরণ করার পরদিন ২৪ জুন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা যায় তার নাম তখনো ফেলের তালিকায় রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে অদ্যবদি অভিযুক্ত ঐ শিক্ষিকা ফেলের তালিকায় ছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ মাদরাসার একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন তাকে এ কাজ না করার জন্য বার বার নিষেধ করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনি আরো দুবার যশোর থেকে বিএড পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছিলেন। তিনি অজ্ঞাত এক ক্ষমতার বলে স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরী করে যাচ্ছেন।

একই ভাবে তার আচরণে শিক্ষার্থীরা সহ মাদরাসার স্টাফরাও অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ বিদ্যাসাগর বিএড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজিরার ফেল করার কথা স্বীকার করে ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কমকে জানান, খাতা কল করে হয়তো অন্য উপায়ে তিনি পরে পাসও করতে পারেন।

এ ব্যাপারে আলোচিত ঐ শিক্ষিকার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমি পরপুরুষের সাথে কথা বলিনা।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তাকে বলেছি জাল সনদ হলে আপনি এ রিক্স নেবেন না। পরবর্তীতে কোন এক সময়ে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। এছাড়া আমি এব্যাপারে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি নই।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কমকে জানান, বিষয়টি অভিযোগ আকারে কেও দরখাস্ত করলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মকছেদ আলীও বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here