রংপুর: এরশাদ মুক্তি আন্দোলন নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে মঙ্গলবার সদ্য বিলুপ্ত কমিটি ও সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রংপুর।এতে ধাওযা পাল্টা-ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ৫০ জন আহত হন।

উভয় গ্রুপই বুধবার এরশাদের মুক্তির দাবিতে রংপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টায় সদ্য এরশাদ ঘোষিত জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগের সমন্বয়কারী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার এমপি, মহানগর আহ্বায়ক একেএম আব্দুর রউফ মানিক, জেলা সদস্য সচিব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর সেক্রেটারি এসএম ইয়াসিরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শাপলা থেকে শুরু হয়ে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত আসে। এ সময় সদ্য বিলুপ্ত মহানগর ও জেলা কমিটির সভাপতি প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, জেলা সেক্রেটারি আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কাদেরীর নেতৃত্বে অপর একটি বিক্ষোভ মিছিল পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের দিকে যায়। এ সময় জাহাজ কোম্পানি মোড়ে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে শুরু হয় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া।

এ সময় পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবি অবস্থান নিয়ে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকেই শান্ত করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির নেতারা সমস্বরে এরশাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন। একই সময়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে সমাবেশ থেকে সদ্য বিলুপ্ত জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাও এরশাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন।

এদিকে, হরতাল ঘোষণা দেয়ার পর আসিফ মানিক মোস্তফা ইয়াসির গ্রুপ গ্র্ডা হোটেল মোড়ে এবং রাঙ্গা-নান্টু-কাদেরী গ্রুপ জাহাজ কোম্পানি মোড়ে অবস্থান নিলে আবারো দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরের দফা সংঘর্ষে রাঙ্গা-নান্টু-কাদেরী গ্রুপ লাঠি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আসিফ মানিক মোস্তফা ইয়াসির গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোস্তফা গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই এরশাদের দেয়া বিলুপ্ত কমিটির পক্ষ হয়ে তাদের সঙ্গে এরশাদভুক্ত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে পারছি না। পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে তারা টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here