জাপানি নাগরিক হত্যাপ্রতিনিধি :: রংপুরে চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক কোনিও হোসিও হত্যা মামলায় জেএমবির রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুনসহ (৩০) পাঁচ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।  অন্যরা হলেন, জেএমবি সদস্য ইসহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব ও সাখাওয়াত হোসেন।
আজ মঙ্গলবার রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবু সাঈকে নামে এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক কোনিও হোসিও প্রতিদিনের মত রিকশায় নগরীর মুন্সিপাড়া থেকে আলুটারিতে তার ঘাসের খামারে যাচ্ছিলেন। রিকশাটি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। পর দিন কাউনিয়া থানায় ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তদন্ত শেষে এ মামলায় জেএমবির আট জঙ্গির বিরুদ্ধে গত ৭ আগস্ট অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী।
আসামিদের মধ্যে জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা, সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ এবং সাখাওয়াত হোসেন রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকার আহসান উল্লাহ আনছারী পলাতক রয়েছেন।
অপর দুই আসামির মধ্যে ৫ জানুয়ারি সাদ্দাম হোসেন ঢাকায় এবং নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান গত বছরের ১ আগস্ট রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। এ মামলায় আদালত ৫৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামি পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here