জানাজা শেষে প্রখ্যাত রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক,পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা রোববার বিকেল চারটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা এবং জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাজায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাজা পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মো. সালাহউদ্দিন।
জানাজায় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে ছিলেন রাজ্জাকের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও আব্দুল জলিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকনও অংশ নেন জানাজায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, মোহাম্মদ নাসিম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকসহ ১৪ দলের নেতারাও অংশ নেন জানাজায়। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনও অংশ নেন জানাজায়।
আজ দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে লন্ডন থেকে মরদেহটি নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর মরদেহ গুলশানে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান। কফিনের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক, ছেলে নাহিন রাজ্জাকসহ তাঁর গুণগ্রাহীরা।
বিমানবন্দরে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আমির হোসেন আমু, আবদুল জলিল, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ।
কাল সোমবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ তাঁর জন্মস্থান শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নেওয়া হবে। বাদ জোহর সেখানে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকায় ফেরত আনার পর বিকেল চারটায় বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। খ্যাতিমান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী শোক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এই বর্ষীয়ান নেতা গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টা ৫০ মিনিটে লন্ডনের কিংস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here