জাজিরায় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: পুলিশসহ আহত-১২খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সোমবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জাজিরার টিএন্ডটি মোড় দখল নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়।

ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। সংঘর্ষে একজন নারী পুলিশসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগ কর্মী বাবুল আকন ও জাজিরা থানা সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে শরীয়তপুর সার্কেট হাউজে যাওয়ার উদ্দেশে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকের সমর্থিত আওয়ামীলীগের একটি পক্ষ ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার সমর্থিত আওয়ামীলীগের অপর একটি পক্ষ জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে অবস্থান নেয়। টিএন্ডটি মোড় দখল করা নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এক পর্যায়ে লাঠিসোটা ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শত শত নেতাকর্মী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় টিএন্ডটি মোড় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে জাজিরা থানা পুলিশ হিমশিম খায়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্রনে আনে।

সংঘর্ষ চলাকালে নারী পুলিশসদস্য মোসলেহা আক্তার, স্থানীয় জুলহাস সারেং (২৫), সুমন খান (৩৫), কবির হাওলাদার, করিম মাঝি, সিরাজ সিকদার, মোঃ হৃদয়সহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জাজিরা থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনামুল হক বলেন, সংঘর্ষে আমাদের একজন মহিলা পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। অন্যান্য কতজন আহত হয়েছে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here