image.png

সোহানুর রহমান :: বিশ্বজুড়ে জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবেলায় নীতিমালা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিশু-তরুণদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিতে এবং জরুরি অবস্থায় কাজ করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে সেভ দ্য চিলড্রেনের নতুন ক্যাম্পেইন রেড অ্যালার্ট।

বিশ্ব পরিবেশ সংরক্ষণ দিবস ২০২০ উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে গত মঙ্গলবার ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং কভিড-১৯ পরবর্তী পরিকল্পনায় শিশু ও তরুণ প্রজন্ম’ শীর্ষক আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে ওয়েবিনারের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী এম,পি।
অতিথি আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) ডঃ ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, শিশু প্রতিনিধি হিরা মনি ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান প্রমুখ। শুরুতে  সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনু ভন মানেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সংস্থাটির পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট এন্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী এম,পি  বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন শুধু উন্নয়নের জন্য চ্যালেঞ্জ নয়, এটি একটি অস্তিত্বের হুমকিও। এই হুমকি মোকাবেলায় নতুন ও তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব নিতে হবে।’
তিনি জানান, সবুজ অর্থনীতি, সবুজ চুক্তি (গ্রীন ডিল), সার্কুলার ইকোনমি এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর হওয়ার বিষয়গুলো ইতিমধ্যে খসড়া পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে কোভিড১৯ থেকে গ্রীন রিকোভারির বিষয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে কোভিড১৯ মোকাবিলায় গ্রীন রিকোভারি করতে হবে।
শিশু প্রতিনিধি গ্রীন ক্লাবের সাবেক সভাপতি হিরা মনি বলেন, ‘আমদের শিশুরা জানতে জলবায়ু তহবিল কোথায় যায়? কিভাবে খরচ হয়?’ এসময় তিনি জলবায়ু সংকট বিষয়ে গণমাধ্যমকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে  সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনু ভন মানেন তরুণ প্রজন্মের শক্তি ও কন্ঠস্বরের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রবীণ প্রজন্মকে তরুণদের কথা শোনার সদিচ্ছা থাকতে হবে। ‘
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা তরুণরা শুধু সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাইনা, আমরা সমাধানের অংশ হতে চাই। আমাদের নেতৃত্ব বিকাশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আমাদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু সংক্রান্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ক্লাইমেট চ্যাম্পিয়ন’র মত কথা বলতে হবে। বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজনে মডেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের তরুণদের সক্ষম নেতা হিসেবে বেড়ে উঠতে হবে।’
তরুণদের উপর বিনিয়োগের উপর গুরাত্বারোপ করে একশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘আমরা যথাযথ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের উদ্ভাবন ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে পারি।’ 
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here