আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে চলমান রাজনৈতিক উত্তাপের আঁচ লেগেছে ইউরেশিয়ার দেশ জর্জিয়াতেও। ইউক্রেনের বিরোধী দলের প্রতি সমর্থন জানানোর পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে মারামারিতেও জড়িয়েছেন জর্জিয়ান সংসদ সদস্যরা।
জানা যায়, বুধবার জর্জিয়ার পার্লামেন্টে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ইউক্রেনে চলমান আন্দোলনে সররকারকে সমর্থন জানানো নিয়ে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর হঠাৎ করেই সংসদ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে যা মারামারিতে রূপ নেয়।
পার্লামেন্টের ভেতরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিতর্কের এক পর্যায়ে দেশটির সরকারি দলের এক সংসদ সদস্য তার হাতে থাকা কাগজপত্র ছুঁড়ে মারেন। এ সময় বিরোধী দলের এক সংসদ সদস্য তাকে কিছু বললে সরকারি দলের ওই সাংসদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। তাদের থামাতে এসে এক পর্যায়ে অন্য সংসদ সদস্যরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
একটি সূত্র জানায়, ইউক্রেন সরকারের ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তিকরণের সমর্থকদের উৎসাহিত করতে ডেপুটি স্পিকার গিওরগি বারামিডিজ একটি প্রস্তাব আনলে সরকারি দলের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। মারামারিতে কেউ আহত হননি।
এ ঘটনার পরপরই দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক জর্জিয়ান পার্টির নেতারা ওয়াকআউট করে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা এ ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইবে ততদিন তারা আর পার্লামেন্টে ফিরে যাবে না বলেও জানিয়েছে।
অবশ্য, যে দেশকে নিয়ে এই ঝামেলা, সেই ইউক্রেনেও ২০১০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটে। সেবার দেশটির পার্লামেন্টে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে মারামারিতে ৬ জনকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। একই বছর আরেকবার পার্লামেন্টে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বিরোধে বিরোধী দল সরকারি দলের দিকে ডিম ও  স্মোক বোম ছুঁড়ে মারে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here