মোঃ মেহেদী হাসানএম শরীফ আহমেদ, ভোলা থেকেঃ  ভোলার চরফ্যাসন উপজেলা সরকারী কলেজ পাড়া এলাকার মোঃ সামছুদ্দিন আহম্মেদ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিবারের গৃহকর্তা মাদ্রাসা শিক্ষক আজ হাত বাড়িয়েছেন পুরো জাতির কাছে। উপজেলা আমিনাবাদ এলাকার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকুরি করে তিনি। ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান সপ্তম শ্রেণি থেক আক্রান্ত ক্যান্সারে।

বর্তমানে ইন্টারমিডিয়েট (এইচ.এস.সি) ১ম বর্ষের বানিজ্যিক বিভাগে চরফ্যাসন সরকারী কলেজের একজন ছাত্র। সপ্তম শ্রেণি থেকে এখন এইচ.এস.সি ১ম বর্ষ পর্যন্ত টানা বছর ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য নিজের উপার্জনের সকল অর্থই শেষ করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক বাবা সামছুদ্দিন আহম্মেদ।

সামান্য বেতন তার থেকে চালাতে হয় সংসার কিন্তু অন্যদিকে ছেলে মেহেদী হাসান প্রতিদিনই এগুচ্ছে মৃত্যু দিকে। ছেলেকে বাঁচাতে বাবা এখন হাত পেতেছেন পুরো জাতির কাছে।

মেহেদীর বাবা সামছুদ্দিন জানান আমার ছেলেকে ৫ বছর ধরে আমার চিকিৎসা চালিয়ে আসছি।

প্রতিদিনই তাকে দিতে হয় থেরাপী। এ পর্যন্ত আমরা ৩৯ টা থেরাপী দিয়েছি। এতে আমাদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমার ছেলে এখন রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতাল ভর্তি আছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোফাজ্জল হোসেন বলেছেন তাকে বেঁচে থাকা পর্যন্ত ক্যামো থেরাপী দিতে হবে এ পর্যন্ত আমি আমার সকল উর্পাজন তার পিছনে শেষ করে দিয়েছি।

এখন আর আমি পারছি না। সকল মানুষের কাছ আমার একটা অনুরোধ আমা ছেলেকে বাঁচাতে আপনারা সকল সহযোগিতা করুন। আপনাদের সহযোগিতায় হয়তো বেঁচে যাবে আমার ছেলেটা। আমার ছেলের জীবনটা আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাই।

অন্যদিকে ছেলে মেহেদী হাসান তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, দেশে ১৬ কোটি মানুষ রয়েছেন। সকলে যদি আমাকে আপনাদের পক্ষ থেকে সাধ্য পরিমাণ সহযোগিতাও করেন তাহলে হয়তো আমি বেঁচে আবার ফিরে আসবো সকলের মাঝে। আপনারা সকলেই আমার অসহায় বাবার পাশ দাঁড়ান। আপানাদের সহযোগিতা এখন আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন।

সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করুন। মোঃ সামছুদ্দিন আহম্মেদ ০১৭১০২০৪৩২১, মেহেদী হাসান ও বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৭৯১৮৬৩৬

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here