স্টাফ রিপোর্টার :: গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস’ ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন প্রধান মিলনায়তনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রাগভিত্তিক গান নিয়ে “রাগে যুগলবন্দি” শিরোনামে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কামাল আহমেদ এবং বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক আফসানা রুনা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রাগাশ্রয়ী গান নিয়ে যুগলবন্দি অনুষ্ঠান বাংলাদেশ এটিই প্রথম।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে মিলনায়তনে দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। উপস্থিত দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শিল্পী কামাল আহমেদ ও আফসানা রুনা গেয়ে শোনান ১৮টি গান। ছুটির দিনের সন্ধ্যায় দর্শকদের পিনপতন নীরবতায় গানের আয়োজন শুরু হলেও মোহনীয় আবেগ থাকতে থাকতেই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কামাল আহমেদের গাওয়া ইমনকল্যাণ রাগে বর্ষার গান “এসো গো জ্বেলে দিয়ে যাও প্রদীপখানি” দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিল্পী কামাল আহমেদের গাওয়া আরো উল্লেখযোগ্য ছিলো মল্লার রাগে “আজি ঝড়ের রাতে”, বেহাগ রাগে “আজি বিজন ঘরে নিশীত রাতে” ও “ভরা থাক স্মৃতিসুধায়”, পিলু রাগে “ছায়া ঘনাইছে বনে বনে” ও “আমার পরান যাহা চায়”, রামকেলি রাগে “যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা” এবং সাহানা রাগের “নিশি না পোহাতে”
নজরুল সঙ্গীত শিল্পী আফসানা রুনার পরিবেশনায় ছিলো ইমন মিশ্র রাগে “বসিয়া বিজনে কেন একা মনে”, মেঘমল্লার রাগে “বরষা ঐ এলো বরষা”, বেহাগ রাগে “নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে”, কেন দিলে এ কাঁটা যদি কুসুম”, পিলু রাগে “সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি” এবং বাগেশ্রী রাগে “হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে” ও “চাঁদ হেরেছি চাঁদ মুখতার”
সব শেষে শিল্পী কামাল আহমেদ ও আফসানা রুনা দ্বৈত কণ্ঠে “মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম (নজরুল সঙ্গীত) এবং “আকাশ ভরা সূর্যতারা” (রবীন্দ্রসঙ্গীত) পরিবেশন করেন। শিল্পীদের পরিবেশিত প্রতিটি গানই উপস্থিত দর্শকদের বৃষ্টিস্নাত শ্রাবনের আবেগে মুগ্ধ করে।