ডেস্ক রিপোর্ট:: ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরা হচ্ছে না। দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাদের ভারতে থাকতে হচ্ছে। ছাড়পত্র পাওয়ার পর করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন বাংলাদেশিরা। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে ভারতের গেটে স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের কথা ছিল।
জানা যায়, রোববার সকাল থেকে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরার কথা ছিল। শনিবার রাত পর্যন্ত ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশিয় দূতাবাস থেকে কোনো ছাড়পত্র প্রদান করেনি। যার কারণে বাংলাদেশে ফেরার দিন রোববার নির্ধারিত থাকলেও কোনো নাগরিক দেশে ফিরতে পারছেন না। ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা ছাড়পত্র পাওয়ার পর করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করবেন।
রোববার সকালে দর্শনা স্থলবন্দর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দেশে প্রবেশ করেননি। ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বিজিবির দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন দর্শনা স্থলবন্দরে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
ভারত থেকে দেশে ফেরার পর স্বাস্থ্য বিভাগ র্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করবেন। চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ১৪ দিন এখানে রাখা হবে কোয়ারেন্টেইনে। যাদের শরীরে করোনার ভাইরাস থাকবে তাদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হবে।
ভারত থেকে ফিরে আসাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
দর্শনা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, এখনও পর্যন্ত ভারত থেকে কেউ দেশে প্রবেশ করেনি। দেশে প্রবেশ করলে দ্রুত সময়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। ইমিগ্রেশনের জন্য সকাল ৮টা থেকে দুপর ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
দর্শনা স্থলবন্দরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ভারত থেকে একজনও বাংলাদেশি নাগরিক দেশে আসেনি। দেশে প্রবেশ করা মাত্র আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ফেরা নাগরিকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।